“এখনও সন্দেহভাজন কাউকে পাওয়া যায়নি, আমরা কাজ করছি,” বললেন কাফরুল থানার ওসি।
Published : 06 May 2023, 09:48 PM
মেট্রেরেলে ঢিল ছোঁড়ার ঘটনার তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলেও কয়েকটি ভবন চিহ্নিত করে পুলিশ বলছে, তারা এগুলোর বাসিন্দাদের বিষয়ে সার্বিক খোঁজ নিচ্ছেন।
অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সূত্র পাওয়ার চেষ্টা চলছে পুলিশের মধ্যে। এর অংশ হিসেবে নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে কাফরুল থানা।
এ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বিডনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘটনার পরপরই ঢিল ছোঁড়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছেন তারা। বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, “যে এলাকায় ঢিল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে, সে এলাকার ৭/৮টি ভবনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভবনের বাসিন্দাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।”
গত ৩০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনে যাওয়ার পথে মেট্রোরেলের জানালায় ঢিল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ট্রেনের একটি জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় ১ মে মেট্রো রেলের লাইন অপারেশন শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক সামিউল কাদির কাফরুল থানায় মামলা করেন, যা মেট্রোরেল আইনে প্রথম মামলা। মামলায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতির দাবি করা হয়েছে।
ওসি হাফিজুর বলেন, “ওই এলাকার চিহ্নিত বাড়িগুলোকে তদন্তের আওতায় এনে পর্যায়ক্রমে বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
“এখনও সন্দেহভাজন কাউকে পাওয়া যায়নি, আমরা কাজ করছি।”
ঢিল ছোঁড়ার ঘটনায় কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে পুলিশ কর্মকর্তা হফিজুর বলেন, তারা চিহ্নিত বাড়িগুলোর বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
তবে শনিবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, “ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা কোন জায়গা থেকে ঢিলটা ছুঁড়েছে, সেটা আইডেন্টিফাই করেছি; ওই বিল্ডিয়ের অধিকাংশ মানুষ এখন সরে গেছে।
“কতদিন পালিয়ে থাকবে? হয়তো দেশের বাইরেও চলে যেতে পারে। কিন্তু সেখান থেকেও আমরা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা আছে, আমরা তাকে ধরে আনব।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। এরপর ধাপে ধাপে মিরপুর ১০, পল্লবী, উত্তরা সেন্টারসহ অন্যান্য স্টেশন চালু হয়। সবশেষ গত ১৫ মার্চ কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশন চালু করা হয়।
এক ঢিলে মেট্রোরেলের ‘১০ লাখ টাকা’ ক্ষতি