আইনটি সিডিএমএসে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় মামলা নথিভুক্ত হতে দেরি হচ্ছে।
Published : 01 May 2023, 09:42 PM
ঢিল মেরে মেট্রোরেলের জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত করার ঘটনায় মেট্রোরেল আইনে প্রথমবারের মতো মামলা হতে যাচ্ছে।
তবে আইনটি পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার বা সিডিএমএসে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় মামলা নথিভুক্ত হতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
তিনি সোমবার রাত ৯টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মেট্রোরেল আইন-২০১৫ এর ৩৫ ও ৪৩ ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারায় মামলাটি হতে যাচ্ছে।
মেট্রোরেল আইনের ৩৫ ধারায় বলা হয়েছে, “কোন ব্যক্তি যদি মেট্রোরেল ও উহার যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় বা বিঘ্নিত হইবার সম্ভাবনা থাকে এইরূপ কোন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।”
আর ৪৩ ধারায় বলা হয়েছে, “কোন ব্যক্তি যদি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন বা উক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা দেন বা ষড়যন্ত্র করেন এবং উক্ত ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনার ফলে সংশ্লিষ্ট অপরাধটি সংঘটিত হয়, তাহা হইলে উক্ত সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী বা প্ররোচনাদানকারী উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।”
মেট্রোরেলে ঢিল, জানালা ক্ষতিগ্রস্ত
কাফরুল থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এখন তাদের সব রকম মামলা ও জিডি হয় ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বা সিডিএমএসের মাধ্যমে। প্রচলিত আইনগুলো সফটওয়্যারে ইনপুট দেওয়াই থাকে। মামলা দায়েরের সময় অভিযোগগুলো লিখে সফটওয়্যারে কোন আইনে ও কোন ধারায় মামলা হবে, সেখানে টিক দিতে হয়। মেট্রোরেল আইনটি ওই সফটওয়্যারে ইনপুট দেওয়া না থাকায় মামলাটি সফটওয়্যারে দায়ের করা যাচ্ছে না। সেই বিষয়ে কাজ চলছে।
গত রোববার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনে যাওয়ার পথে মেট্রোরেলের জানালায় ঢিল ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও জানালার কাঁচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কোনো দুর্বৃত্ত পূর্বপাশের কোনো ভবন বা ছাদ থেকে ঢিল ছুড়ে থাকতে পারে ধারণা করে ওসি সেদিন বলেছিলেন, এ ঘটনায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগ দিয়েছে।
“মেট্রোরেল সবার কাছে একটি আবেগের জিনিস এবং মেট্রোরেলের নিরাপত্তা সবার আগে। এ ঘটনায় একটি মামলা হবে।”
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জসীমউদ্দীন মোল্লা বলেন, “মামলাটি ম্যানুয়ালি লেখা হয়ে গেছে, সফটওয়্যারে একটা বিষয়ের কারণে… সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।”