এ চক্রের তিনজনের তথ্য খুঁজছে সংস্থাটি।
Published : 12 Feb 2025, 08:34 PM
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের নামে ভুয়া ফেইসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ আইডি খুলে তিনজনের একটি দল ’লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে’ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের মামলার ভয় দেখিয়ে রেজোয়ানুল হক নামের এক ব্যক্তি এমন প্রতারণা করছেন; এ কাজে তার সঙ্গী ইয়াসমিন আক্তার ও জরিনা বেগম নামের দুই নারী বলে অভিযোগ পেয়েছে কমিশন।
বুধবার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিযোগের তথ্য পাওয়ার কথা তুলে ধরে তাদের বিষয়ে তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজোয়ানুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতারকচক্র দুদকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নাম-পদবি ব্যবহার করে বেআইনি প্রক্রিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণামূলকভাবে দুদকের মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ জনগণের নিকট হতে অর্থ আদায় করছে।
”ইদানিং তারা বেপরোয়া হয়ে এমনকি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের ভুয়া ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে এরূপ অসাধু কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।”
এমন প্রতারণামূলক কাজের জন্য এরআগে রেজোয়ানুলকে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বাইরে এসে পুনরায় তিনি একই অপকর্ম অব্যাহত রেখেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, “রেজোয়ানুলের সহযোগী ইয়াসমিন আক্তার নামে একজনের নামে রংপুরের ঠিকানায় অবস্থিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলে। ওই অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ব্যক্তিদের ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে, যা কমিশন কর্তৃক পরিচালিত গোয়েন্দা কার্যক্রমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
“এছাড়া তার অপর সহযোগী মোছা. জরিনা বেগম এর নগদ অ্যাকাউন্টে এরূপ অবৈধ অর্থ আদানপূর্বক আত্মসাৎ করা হয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া গিয়েছে।”
দুদক বলছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতারকচক্র সাধারণ মানুষকে হয়রানি করাসহ দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করছে। কমিশন কারও বিরুদ্ধে অনুসন্ধান বা তদন্ত শুরু করলে পত্র মারফত ওই ব্যক্তিকে জানানো হয়; টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয় না।
”পত্রটি ভুয়া কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয় অথবা নিকটস্থ বিভাগীয় বা জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হল।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এছাড়া অন্য কোনো প্রতারণা বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে অথবা এ প্রতারকচক্রের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে জানানো অথবা নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা স্থানীয় থানার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।