বাণিজ্য অবকাঠামো ও উৎপাদন সক্ষমতা গড়ে তোলার পাশাপাশি অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশাধিকারকে কাজে লাগাতে স্বল্পোন্নত দেশের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাসস জানায়, মঙ্গলবার কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আঞ্চলিক একিভূতকরণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি’ শীর্ষক গোলটেবিলে সহসভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা এবং দোহা কর্মসূচিতে নিজেদের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনে নিজেদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে হবে। সেজন্য জাতীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
“আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিশ্রুতিগুলো প্রাজ্ঞ, বাস্তবসম্মত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উৎপাদনশীল ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভালোভাবে পরিকল্পিত হওয়া উচিত। আমি আশা করি দোহা কর্মসূচিতে আমরা নিজেদের জন্য যে লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করেছি তা অর্জনে আমাদের আলোচনা ইতিবাচক অবদান রাখবে৷"
বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, তার সরকার একটি মাল্টিমডাল পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তঃসীমান্ত সংযোগ উন্নত করতে জোর দিয়েছে।
“এটা খরচ কমাবে, দক্ষতা বাড়াবে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উন্নয়ন ঘটাবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের নীতি হচ্ছে জাতীয় উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা। এর মাধ্যমে এলডিসি থেকে উত্তোরণের বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এবার স্বল্প মেয়াদী অগ্রাধিকার হচ্ছে মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করা।
বুরুন্ডি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট এভারিস্ট এনদাইশিমিয়ে এই ইভেন্টের আরেক সহসভাপতি ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ মন্ত্রী, পর্যবেক্ষক এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।