আচরণবিধি ভঙ্গে ৭৪৬ জনকে শোকজ, ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন আসনের অন্তত এক ডজন প্রার্থীসহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন ভবন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভাঙায় বিভিন্ন দলের প্রার্থীসহ ৭৪৬ জনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিস দিয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।

একই সঙ্গে অন্তত এক ডজন প্রার্থীসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শনিবার পর্যন্ত ৭৪৬ জনকে শোকজ পাঠানোর কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার উপসচিব আব্দুছ সালাম। এর মধ্যে ৪৯৯টির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে বেশি ১৮৪টি শোকজ করা হয়েছে ঢাকা অঞ্চলে।

এছাড়া রংপুর অঞ্চলে ৫২টি, কুমিল্লায় ১০১টি, ফরিদপুরে ২৫টি, চট্টগ্রামে ৪৪টি, সিলেটে ২৩টি, বরিশালে ৩৯টি, খুলনায় ৮৬টি, রাজশাহীতে ১০৭টি ও ময়মনসিংহে ৮৫টি শোকজ করা হয়েছে।

এবারই প্রথমবারের মতো ৩০০ আসনের প্রতিটির জন্য যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজদের নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব কমিটিই শোকজ করেছে।

নোটিসের জবাব পাওয়ার পর অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠায়।

সেই প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এক লাখ টাকা এবং বরগুনা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কমিশন।

এছাড়া ডিসি-এসপিকে বদলির হুমকি দেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে কমিশন।

পৌনে একশ মামলার নির্দেশ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন আসনের অন্তত এক ডজন প্রার্থীসহ ৭০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের রাজশাহী-৪ আসনের আবুল কালাম আজাদ; নোয়াখালী-২ আসনে নৌকার মোরশেদ আলম, একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান; জয়পুরহাট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী, ঠাঁকুরগাঁও-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী আসলাম, নেত্রকোণা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা, মাগুরা-২ আসনে জাতীয় পার্টির মো. মুরাদ আলী ও মেহেরপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হয়েছে।

এ পর্যন্ত কমিশন ৬১টি মামলা সংক্রান্ত নোটিস জারি করেছে।

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের বাদি হয়ে থানা ও আদালতে মামলা দায়েরের জন্য বলা হয়েছে।

এর আগে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইসি।