ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে ‘ভালো তথ্য’ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
রোববার দুপুরে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ডিএমপি কমিশনার। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের ‘ভালো তথ্য’ পাওয়ার কথা জানান।
ছিনিয়ে নেওয়া দণ্ডিত দুই জঙ্গি হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) এ দুই সদস্য দীপন হত্যায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলাতেও আবু সিদ্দিক সোহেলের ফাঁসির রায় হয়েছে।
অন্য মামলার শুনানিতে হাজির করতে রোববার তাদের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল। শুনানি শেষে তাদের হাজতখানায় নেওয়ার সময় সহযোগীরা হানা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, “আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের কাজ শুরু হয়েছে এবং এ ঘটনায় কারা এসেছিল ছিনতাই করতে, তাদের সম্পর্কে ভালো তথ্য পেয়েছি। তাদের নাম পেয়েছি, অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারব।”
পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির সঙ্গে আসামি আরও দুই জঙ্গি ছিলেন, যারা পালাতে পারেননি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “এ পরিকল্পনায় আরাফাত ও সবুরও জড়িত। তাদেরকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।”
মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা এক মামলার শুনানিতে তাদের আদালতে নেওয়া হয়েছিল। ওই মামলায় যে ২০ জন আসামি ছিলেন, তাদের ছাড়াও অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ জনকে নতুন মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ওই দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ইতোমধ্যে করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত গঠন করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পলাতক জঙ্গিরা যাতে দেশ ছাড়তে না পারে সেজন্য রেড অ্যালার্ট জারি করে সীমান্ত এলাকায় সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।