গণ আন্দোলনে সরকার পতনের পরদিন থেকে জামিনে মুক্ত রয়েছেন মামুন।
Published : 05 Dec 2024, 06:10 PM
ছয় কোটি টাকা যুক্তরাজ্যে পাচারের মামলায় বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায় বাতিল করেছে হাই কোর্ট।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
আদালতে মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা চৌধুরী।
২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় গিয়াস আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
মামলায় বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে কমিশন দাবি করেন, নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন।
এজাহারে অভিযোগ, “হুমকি দিয়ে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ছয় কোটি এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা আদায় করেন। পরে তা বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করা হয়।”
ওই ঘটনায় মামলার পর তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ে। সাত বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন রায় ঘোষণা করেন। ওই সময় কাঠগড়ায় মামুন উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে তাকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসঙ্গে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে মামুনের দুই অ্যাকাউন্টে থাকা ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাই কোর্টে আপিল করেন মামুন। পাঁচ বছর পর হাই কোর্ট তার দণ্ড বাতিল ঘোষণা করল।
গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরদিন, অর্থাৎ ৬ অগাস্ট থেকে মামুন জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
পুরনো খবর-
মুদ্রা পাচারের আরেক মামলায় দণ্ডিত গিয়াস আল মামুন