মুদ্রা পাচারের আরেক মামলায় দণ্ডিত গিয়াস আল মামুন

ছয় কোটি টাকা যুক্তরাজ্যে পাচারের মামলায় বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বন্ধু বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2019, 07:26 AM
Updated : 24 April 2019, 12:23 PM

ফাইল ছবি

ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন। কাঠগড়ায় থাকা মামুনকে এ সময় বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। 

মানি লন্ডারিং আইনের এ মামলায় আসামি মামুনকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে মামুনের দুই অ্যাকাউন্টে থাকা ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। আর আসামি মামুনের পক্ষে ছিলেন খায়রুল ইসলাম লিটন।

গত ৮ এপ্রিল রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে। অভিযোগপত্রভুক্ত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের জবানবন্দি শুনে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে কমিশন দাবি করেন, নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন।

হুমকি দিয়ে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ছয় কোটি এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা আদায় করেন। পরে তা বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করা হয়।

এই অভিযোগে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তদন্ত শেষে পরের বছর ২৬ এপ্রিল তিনি গিয়াস আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

খালেদা জিয়ার ছেলের বন্ধু মামুন জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে।

এর মধ্যে অর্থ পাচারের এক মামলায় তারেকের সঙ্গে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে আদালত।