আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ আদেশ দিয়েছেন
Published : 12 Dec 2024, 05:47 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর উত্তরায় এক ব্যবসায়ীকে ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগে উত্তরা পূর্ব থানা করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের ওই আবেদন আগামী ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আপিল বিভাগের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১০ ডিসেম্বর হাই কোর্ট শমী কায়সারকে তিন মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে তা চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
চেম্বার জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব। শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হামিদুল মিসবাহ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাজিয়া কবির।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর রাতে উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩ দিনের রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠায় ঢাকার আদালত।
নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে শমী কায়সার হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা হয়। এতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় গানভিত্তিক দেশের একমাত্র বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন ‘গান বাংলার' ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস ৯ নম্বর ও শমী কায়সার ২৪ নম্বর আসামি।
সরকারের বদলের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রী-এমপিদের পাশাপাশি বিগত আওয়ামী লীগ ‘সরকার ঘনিষ্ঠ’ তকমা দিয়ে অনেক সাংস্কৃতিক কর্মীকর নামেও মামলা হয়। গত ৪ নভেম্বর রাতে উত্তরা থেকে কৌশিক হোসেন তাপস গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন ধরা হয় শমী কায়সারকে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার ও লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার দম্পতির সন্তান শমী কায়সার নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। পরে তিনি প্রযোজনায়ও নাম লেখান।
শমী অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন। হয়েছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালকও।
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১৪ অগাস্ট ই-ক্যাব সভাপতির পদ ছাড়েন শমী কায়সার।
তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। চলতি বছর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে একজন আহত হওয়ার ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর উত্তরা পূর্ব থানায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলাটি করা হয়। গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুরনো খবর: