“তাদের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। এখানে তারা একদিন না ১০ দিন আসবে, দেখবে- এখানে ভীতি কোথায়,” বলেন আহসান হাবিব খান।
Published : 31 Aug 2022, 07:16 PM
ইভিএম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ না করে নির্বাচন কমিশনে এসে যাচাই করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান।
বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের উপযোগিতা’ বিষয়ক রোববারের আলোচনা সভায় ইভিএমের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আলোচকরা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কারও নাম উল্লেখ না করে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব বলেন, “যে বা যারা বলছেন তাদেরকে ইনভাইট করেছি। অজানা কারণে উনারা আসেননি। পরবর্তীতে আসার বা বলার সুযোগও চান না।… তাদের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। এখানে তারা একদিন না ১০ দিন আসবে, দেখবে- এখানে ভীতি কোথায়? চ্যালেঞ্জ যদি করতেই হয়, সংবাদ সম্মেলনে কেন, আমাদের এখানে এসে চ্যালেঞ্জ করুক।”
সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০ আসনে ইভিএম, সিদ্ধান্ত ইসির
ইসির ইভিএমে কারসাজির সুযোগ নেই: জাফর ইকবাল
গত ফেব্রুয়ারিতে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে দল, গণমাধ্যম, বেসরকারি সংস্থা, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন পেশাজীবী, কারিগরি দলসহ অংশীজনের সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপ করেছে। তাতে অংশ নেননি ব্যক্তিগতভাবে অনেকে; পাশাপাশি কিছু দলও সাড়া দেয়নি আমন্ত্রণে।
ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথা জানায় সাংবিধানিক সংস্থাটি।
এমন পরিস্থিতিতে এক আলোচনা সভায় সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ইভিএম যে একটি নির্ভুল ও বিশ্বাসযোগ্য যন্ত্র এটা জনগণের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা তো কমিশনের দায়িত্ব। ইভিএম বাইরে থেকে কেউ কারসাজি করতে পারবে না এটা ঠিক, কিন্তু কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন রকমের কারসাজি করার সুযোগ থেকেই যায়। তাই ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর।
শামসুল হুদা ও বদিউল আলম মজুমদারকে একহাত নিলেন সিইসি
ইভিএমের চ্যালেঞ্জ শুধু গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’: আহসান
নির্বাচন কমিশনার আহসান জানান, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি এ নিয়ে রাজনৈতিক দলের টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বসেছে। পাঁচ মাস ধরে সময় দেওয়া হয়েছে।
ইভিএম নিয়ে আস্থা ‘অবশ্যই আসবে’ আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা তো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছি, প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানও করেছে। সেই সৎ সাহস কেন নেই? আমাদের এখানে আসতে দ্বিধা কেন? অবশ্যই তারা যদি অনুভব করে আমাদের এসে দেখাবে।
“আমরা রেকটিফাই করব অথবা আমরা প্রমাণ করব এখানে কোনও কিছু নাই। দেখা যাক, সেই সৎ সাহস কেন থাকবে না? এনি টাইম এনি বডি ক্যান কাম।…পাঁচ মাস ধরে সুযোগ দিলাম, কেউ আসল না? তাদের উদ্দেশ্যটা কি বুঝতে পারি না।“