হৃদরোগ, কিডনি, শিশু ও নবজাতক বিভাগের রোগীদের মাঝে এ হার ২১ দশমিক ৫ শতাংশ।
Published : 11 Jun 2023, 08:51 PM
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৫২ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।
আর হৃদরোগ, কিডনি, শিশু ও নবজাতক বিভাগের রোগীদের মাঝে এ হার ২১ দশমিক ৫ শতাংশ।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল স্টুওয়ার্ডশিপ’ শীর্ষক মাসিক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাছ, মাংস ও পোল্ট্রি পণ্য খেয়ে মানুষ সহজেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। সঠিক মাত্রায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহার না করার কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে।
সেমিনারে ডা. সাঈদা আনোয়ার, ডা. নাজমুল হাসান, ডা. জহিদুল ইসলাম অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জহিদুল ‘অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল স্টুওয়ার্ডশিপ প্রোগ্রামস ফর ইনফেকশন কন্ট্রোল ইন এ টার্শিয়ারি কেয়ার হসপিটাল’ শীর্ষক প্রবন্ধে জানান, বিএসএমএমইউর আইসিইউতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মাঝে সর্বোচ্চ ৫২ শতাংশের অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স পাওয়া গেছে। হৃদরোগ, কিডনী, শিশু ও নবজাতক বিভাগের রোগীদের মাঝে এই হার ২১ দশমিক ৫ শতাংশ।
তার ভাষ্য, চিকিৎসকদের পক্ষে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স ঠেকানো সম্ভব নয়।
“পোল্ট্রি শিল্পে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রীতে বিশেষ করে মুরগীর মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত ৫৫ শতাংশ। মৎস্য, পশু ও পোল্ট্রি শিল্পে ১৯ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে। কৃষিখাতও এই আশঙ্কার আওতামুক্ত নয়। এ সকল খাবার খেয়ে মানুষের শরীর সহজেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে।”
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে রোগীদের শরীরে আইসিইউতে রাখা রিজার্ভ অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি মেরোপেনামের নাম উল্লেখ করেন।
“বিষয়টি আশঙ্কার। আমাদেরকে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে এবং জসচেতনতা বাড়াতে হবে। এটা বাস্তবায়ন না করতে পারলে ২০৫০ সাল নাগাদ মানুষের শরীর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হওয়ার ফলে করোনার চাইতে দ্বিগুণ মানুষের মৃত্যু হবে। তাই রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কেউ যাতে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রয়-বিক্রয় করতে না পারে তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।”
সেমিনারে প্রো-ভিসি (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদসহ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।