“নির্বাচন কমিশনের কারণে কোনো ভোটার উপস্থিতি কমছে না,” বলেছেন নির্বাচন কমিশনার আলমগীর।
Published : 29 May 2024, 12:39 AM
উপজেলা পরিষদের প্রথম দুই ধাপে কম ভোটারের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলেও তৃতীয় ধাপে এসে বেড়েছে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সহিংসতার ঘটনা; তার মধ্যেই হতে যাচ্ছে ৮৭ উপজেলায় ভোট।
বুধবার তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছিল নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এসে ভোট থামিয়েছে ২২টিতে। এর বাইরে নরসিংদীর রায়পুরায় ভোট আটকেছে এক প্রার্থী খুনের ঘটনায়।
এছাড়া আইনি জটিলতায় ভোট স্থগিত হয়েছে যশোর সদরে। আর পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সেখানে ভোটের প্রয়োজনই পড়ছে না।
একদিকে তফসিল ঘোষিত ৭৮ শতাংশ উপজেলার ভোট হতে যাওয়ায় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কমেছে মানুষের, অন্যদিকে আগের দুই ধাপের অভিজ্ঞতায় বুধবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিত কম হওয়ার শঙ্কার কথা বলেছেন নির্বাচন বিশ্লেষক ও পযবেক্ষকরা।
তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ নেই; শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন ভোটের দিকেই নজর রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর মঙ্গলবার বলেন, “সহিংসতা আমরা কোনো ধাপেই আশা করি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কমিশন, নির্বাচন পরিচালনায় যারা আছে- সবাই কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
“কেউ কোনো ধরনের সহিংসতা করে পার পাবে-তা আমরা মনে করি না। নিজেদের মঙ্গল চাইলে কোনো সহিংসতা করবেন না আশা করি।”
অনিয়মের বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ইসির কঠোর নির্দেশ, জাল ভোট দিলেই আইনের আওতায় আনা হবে।
“আর ভোটার উপস্থিতি কেন্দ্রে যা আসবে তাই; ফলাফলে যা বাস্তব তাই প্রতিফলিত হতে হবে। জাল জালিয়াতি প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
>> বুধবার সকাল ৮টায় দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোট শুরু হয়ে চলবে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
>> এর মধ্যে ১৬টি উপজেলায় ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে প্রচলিত ব্যালট পেপারে ভোট হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলম বলেন, ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার নির্বাচন সামগ্রীর সঙ্গে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে ৪১৪ কেন্দ্রে। ভোটের দিন বুধবার সকালে ৭ হাজার ৩৬ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে।
দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট হচ্ছে বুধবার। এরপর ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোট রয়েছে।
>> এই ধাপে মোট ১ হাজার ১৫২ জন প্রার্থী রয়েছেন।
>> তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোট নিয়ে আগ্রহ কমছেই
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গত ৮ মে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ, এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ৩৮ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গড়ে ৩৯.৭১ শতাংশ ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬০.৯৩ শতাংশ এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭.৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে।
এ হিসাবে গত দেড় দশকের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে এবারই সবচেয়ে কম ভোটের হার দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি যে ধারাবাহিকভাবেই কমে আসছে তা মানছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।
তার কথায়, “উপকূলীয় এলাকাসহ ঢাকা ও অনেক জায়গায় ঘূর্ণিঝড় রেমেলের প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে হয় না, এর প্রভাবে ভোটার উপস্থিতি কমবে। ইতোমধ্যে দুর্যোগের আঁচ কমে গেছে।
“ভোটার উপস্থিতি কোন কারণে কমছে, এটা সবারই ভেবে দেখা উচিত-কেন কেন্দ্রবিমুখ হচ্ছে ভোটাররা। ভোট দিতে আসছে না কেন, এটা খোঁজা উচিত। ভোটাররা হয়তো আস্থা পাচ্ছে না।”
ভোটারদের আস্থাহীনতার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে ভোট বাড়বে বলে মনে করেন সাবেক এ নির্বাচন কমিশনার।
“সামনের নির্বাচনগুলোয় খুব বেশি ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলা যায় না। একটা বড় দল ও সমমনা দল আসেনি ভোটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও বহিষ্কার করা হচ্ছে, আর ভোটের বিষয়ে নেগেটিভ প্রচারণা চালাচ্ছে; এটাও ভোটের হার কমার একটা কারণ। আরও বিষয় রয়েছে। ইসির একার পক্ষে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো সম্ভব না, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বলেন, “আমার কাছে মনে হয়- আগের দুটি ধাপে যেমন হয়েছে, সেরকমই ভোটার উপস্থিতি হতে পারে। সামান্য কম বেশি হলেও খুব বেশি পার্থক্য হবে না। কারণ, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব তো আছেই।
“এর সঙ্গে অন্য কারণ হচ্ছে-প্রকৃতভাবে যদি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হয়; তখন ভোটাররা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। যেহেতু জানে তারা, ভোট হচ্ছে একই দলের ভেতরে। ‘যেই জিতুক, দল থেকে জিতবে; এজন্য আমার ভোট দিতে যাওয়ার দরকার নেই’।”
তৃতীয় ধাপের ভোটে নরসিংদীর রায়পুরায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়াকে খুনের যেমন ঘটনা ঘটেছে, তেমনই আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কয়েক জায়গায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
এসব প্রসঙ্গ তুলে ধরে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ-জানিপপ চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, “তৃতীয় ধাপে এসে ভোটকে কেন্দ্র করে অনেক এলাকায় সহিংসতা বেড়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনও বেড়েছে। এটা ভোটের জন্য অ্যালার্মিং।
“আর ভোটার উপস্থিতি তো ক্রমান্বয়ে কমছে। রেমেলের পর বুধবার ভোটার উপস্থিতি মনে হয় দুই ধাপের চেয়ে কমতে পারে।”
কমিশনের দায় দেখছেন না ইসি আলমগীর
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে ভোটার উপস্থিতি কমলেও তাতে নির্বাচন কমিশনের দায় দেখছেন না নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তার ভাষ্য, “ভোটার উপস্থিতি কমিশনের উপরে ডিপেন্ডেন্ট না। ইসির উপর ডিপেন্ডেন্ট- কমিশন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে পেরেছে কি না, ভোটার-প্রার্থীর নিরাপত্তা রয়েছে কি না-সেটাতে কোনো সমস্যা নেই। অতএব নির্বাচন কমিশনের কারণে কোনো ভোটার উপস্থিতি কমছে না।”
>> এবারের উপজেলা ভোটকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কাউকে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন দেয়নি। ফলে আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আর বিএনপি ও সমমনারা জাতীয় নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনেও আসেনি। দলটির যেসব প্রার্থী ভোটে এসেছেন তারাও কাগজে কলম স্বতন্ত্র প্রার্থী, তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
>> প্রথম দুই ধাপের ভোটে বেশির ভাগ স্থানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারাই জিতেছেন। এছাড়া বিএনপির বহিষ্কৃতসহ অন্তত ১০ জন জয়ের মুখ দেখেছেন।
নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, “ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও সব দল অংশ নেওয়ার পরও ভারতে ৬০ পার্সেন্টের উপরে ভোটাররা ভোট দিচ্ছে না। তার মানে ৪০ পার্সেন্ট ভোটার সম্পূর্ণ পরিবেশ ভালো থাকার পরও আসছে না। কেন আসছে না, তা গবেষণার বিষয়।
“বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক পরিস্থিতিও প্রায় কাছাকাছি, একই। সেখানে একটা বড় রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না, তার একটা প্রভাব রয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া, সিজন, প্রার্থী কেমন, জনপ্রিয় হলে বেশি ভোট পড়ে। (ভোটার উপস্থিতি) একক বিষয়ের উপর নির্ভর করে না, নানা কারণ রয়েছে।”
‘সহিংসতা করে কেউ পার পাবে না’
ইসি বলেছে, নির্বাচনি এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন। বিশেষ এলাকায় (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ থেকে ২১ জন সদস্য মোতায়েন করা হবে।
ভোটের মাঠে নিয়োজিত আছেন শতাধিক নির্বাহী হাকিম। উপজেলাভিত্তিক বিচারিক হাকিমরাও নিয়োজিত থাকছেন। ভোটের আগে ও পরে চার দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবেন আরও নির্বাহী ও বিচারকি হাকিম।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, “আইনশৃঙ্খলার কোনো সমস্যা নেই। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়।”
আবহাওয়া কেমন থাকে, তার উপরই ‘অনেক কিছু’ নির্ভর করছে বলে মনে করেন তিনি।
তৃতীয় ধাপের ভোটে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ২২৯ প্লাটুন প্লাটুন বিজিবি থাকছে। ভোটকেন্দ্রে ২৯ হাজার ৯৫৮ জন এবং মোবাইল টিমে ৭ হাজার ৭৯৪ জন ও স্ট্রাইকিং ফোর্সে ৩ হাজার ৩৬৪ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকছেন। সব মিলিয়ে ৫৯ হাজার ২১৯ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকছেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় র্যাবের ২৩০টি টিম মাঠে থাকছে। ভোটকেন্দ্র, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সে আনসার সদস্য থাকছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৯ জন আনসার সদস্য।
নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া বলে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, “আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কমিশন, নির্বাচন পরিচালনায় যারা আছে- সবাই কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ কোনো ধরনের সহিংসতা করে পার পাবে না।”
স্থগিত ভোট কবে? সিদ্ধান্ত হয়নি
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে তৃতীয় ধাপের ২২ উপজেলায় ভোট স্থগিত করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, “তৃতীয় ধাপে উপজেলাগুলোয় সাধারণ নির্বাচনের জন্য ইসি ও মাঠ পর্যায়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
“কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে অনেক নির্বাচনি এলাকায় জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হয়েছে, বেড়িবাঁধ ভেঙেছে, কোথাও গাছ ভেঙে পড়েছে। কোথাও সড়ক ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এজন্যে কিছু উপজেলায় আপাতত ভোট স্থগিত করা হয়।”
>> রেমালে ভোট স্থগিত হওয়া ২২ উপজেলা হচ্ছে - শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা, কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, মঠবাড়িয়া, তজুমদ্দিন, লালমোহন, রাজাপুর, কাঠালিয়া, বামনা, পাথরঘাটা, বাঘাইছড়ি, কচুয়া, ফরিদগঞ্জ ও খালিয়াজুরী।
>> এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে একজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন; অর্থাৎ মোট ১২ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
>> পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় তিনটি পদেই একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
>> প্রার্থী খুনের ঘটনায় ভোট স্থগিত হয়েছে নরসিংদীর রায়পুরায় এবং মামলার কারণে যশোর সদরে ভোট স্থগিত থাকছে।
প্রথম তিন ধাপেই বেশ কিছু উপজেলায় ভোট স্থগিত হয়েছে; সেগুলোর ভোটগ্রহণ চতুর্থ ধাপের সঙ্গে হবে না কি পরে হবে, তা স্পষ্ট করেননি নির্বাচন কমিশনার আলমগীর।
তিনি বলেন, “নতুন তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি। আবহাওয়া কেমন থাকে, স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে, সামনে ঈদ রয়েছে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট রয়েছে ৫ জুন। সব বিবেচনা করে চতুর্থ ধাপে কোনটা করা যায় কিংবা পরে কবে করা যায় তা জানানো হবে।”
আরও পড়ুন:
রেমাল: আরও ৩ উপজেলায় ভোট স্থগিত
তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৩৬.১%
স্থানীয় নির্বাচনেও কেন ভোটের হারে ভাটা?
উপজেলা চেয়ারম্যান: লড়াইয়ে নারী মাত্র ৪%, 'প্রতিবন্ধকতা' পদে পদে