“গত ৫৩ বছরেও তার নীতি আদর্শের পরিবর্তন ঘটেনি। কাজেই এই নিষিদ্ধকরণ ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি “
Published : 01 Aug 2024, 09:58 PM
শুধু ঘোষণার মাধ্যমে নয়, জামায়াতে ইসলামীকে বাস্তবিক অর্থে নিষিদ্ধে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পুনর্জাগরণ জরুরি বলে মনে করছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলছে, জামায়াত বালাদেশের স্বাধীনতা চায়নি বরং প্রতিরোধ করেছে।
“গত ৫৩ বছরেও তার নীতি আদর্শের পরিবর্তন ঘটেনি। কাজেই এই নিষিদ্ধকরণ ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি। তবে সরকারি ঘোষণা দিয়ে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করাই শেষ কথা নয়।”
বাংলাদেশকে সুস্থ গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের প্রগতিশীল ধারায় পরিচালিত করতে সরকার, গণসংগঠন ও সাংস্কৃতিক সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করে সংগঠনটি।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ লানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী জামায়াত এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা জামায়াতকে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তারা রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পায়।
দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ছিল তখন থেকেই। চার দশক পর সেই দাবি পূরণ হল, যদিও যুদ্ধাপরাধের জন্য জামায়াতের বিচারের দাবি এখনও অপূ্র্ণ রয়ে গেছে।