১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১
“ব্লগার ও মুক্তচিন্তার মানুষ হত্যার যে রাজনীতি করে গেছে জামায়াত, তার পরিপূর্ণ বিচার আজও হয়নি,” বলেন ইমরান এইচ সরকার।
“গত ৫৩ বছরেও তার নীতি আদর্শের পরিবর্তন ঘটেনি। কাজেই এই নিষিদ্ধকরণ ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি “
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলে, সাধারণ জ্ঞান ও দালিলিক প্রমাণাদি থেকে এটা স্পষ্ট যে, জামায়াত ও এর অধীনস্ত সংগঠনের প্রায় সবাই সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা জামায়াতকে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তারা রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পায়।
“সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ এর ১ ধারা অনুযায়ী জামায়াত, শিবির ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে।”
“পেছনের সন্ত্রাস, সুশীল সমাজের ডিমান্ড, ১৪ দলের ডিমান্ড, অতি সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটছে, এগুলোর সঙ্গে জামায়াতের যোগসাজশ আছে। সব কিছু মিলিয়েই এটা করা হচ্ছে,” বলেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা এ দলকে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে। আর এবার দলটিকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে জন নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তির বিচার হলেও দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের দাবি ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চ থেকেও তোলা হয়েছিল।