“ব্লগার ও মুক্তচিন্তার মানুষ হত্যার যে রাজনীতি করে গেছে জামায়াত, তার পরিপূর্ণ বিচার আজও হয়নি,” বলেন ইমরান এইচ সরকার।
Published : 01 Aug 2024, 10:38 PM
দেরিতে হলেও ‘যুদ্ধাপরাধী সংগঠন’ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
বৃহস্পতিবার জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারির পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, “এই যুদ্ধাপরাধী দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধই যথেষ্ট নয়। বরং এই সংগঠনের গড়ে তোলা মৌলবাদের অর্থনীতির যে বিশাল সাম্রাজ্য, সে বিষয়ে তদন্ত করা জরুরি।”
একাত্তরে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত’ জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ চালানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী জামায়াত এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা জামায়াতকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তারা রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পায়।
দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ছিল তখন থেকেই। পরে ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে তা আরো জোরালো হয়ে ওঠে। দল হিসেবে জামায়াতের বিচার এবং জামায়াত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাও ছিল মঞ্চের অন্যতম দাবি।
জামায়াত-শিবিরের ‘অপরাজনীতি যে ভয়াবহ জঙ্গিবাদের’ জন্ম দিয়েছে, গণজাগরণ মঞ্চের সহযোদ্ধারা তার ‘নিষ্ঠুর শিকার’ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইমরান এইচ সরকার।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ব্লগার ও মুক্তচিন্তার মানুষ হত্যার যে রাজনীতি করে গেছে জামায়াত, তার পরিপূর্ণ বিচার আজও হয়নি।”
অবিলম্বে ব্লগার হত্যার বিচার সম্পন্ন করে রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।