ফেনী জেলায় ৬৫৩টি টাওয়ারের মধ্যে সচল আছে মাত্র ৫৫টি।
Published : 24 Aug 2024, 02:01 PM
বন্যাক্রান্ত জেলাগুলোর মধ্যে আগের তুলনায় কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও বিপর্যস্ত ফেনী জেলায় পরিস্থিতি আগের মতোই রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসির তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার রাত ১১টা থেকে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে টেলিযোগাযোগ সেবার উন্নতি হতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎসংযোগ ফেরায় সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কও ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে।
শনিবার সকাল ৯টায় বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগ থেকে পাওয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত ১০ জেলার কিছু এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সেগুলো হলো- ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট।
এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ফেনী। জেলাটির ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার বা সাইট এখনও অচল। জেলার ৬৫৩টি টাওয়ারের মধ্যে ৫৯৮টি এখনো অচল। সচল আছে মাত্র ৫৫টি।
গত দুদিন ধরে খারাপ পরিস্থিতি থাকলেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে কুমিল্লা ও নোয়াখালীর টেলিযোগাযোগ সেবা। নোয়াখালীর এক হাজার ১৫১টি টাওয়ারের মধ্যে ১৭০টি এবং কুমিল্লায় ২ হাজার ৫২৯টি টাওয়ারের মধ্যে ২৬২টি অচল রয়েছে। বাকিগুলো সচল। অচল টাওয়ারগুলোও দ্রুত সচল করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।
গ্রামীনফোনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে এলাকাগুলোতে অচল সাইট বেশি, অধিকাংশ এলাকাতেই বিদ্যুৎ নেই। ফলে, সেখানে টাওয়ারগুলো চালু করা যাচ্ছে না বা সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যেখানে সুযোগ হচ্ছে, আমরা সাইট সচল করছি।”
অন্য জেলাগুলোর মধ্যে লক্ষ্মীপুরে ২৭টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪টি, চট্টগ্রামে ৮৪টি, খাগড়াছড়িতে ৬০টি, হবিগঞ্জে ৫টি, মৌলভীবাজারে ৩৫টি এবং সিলেটে ৮টি মোবাইল টাওয়ার অচল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে পাঁচটি ফেনী জেলার প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। ভি-স্যাটগুলো ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
টেলিকম অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অটুট রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) রাখার ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: