ইইউ’র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ভোটের আগ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
Published : 03 Dec 2023, 04:31 PM
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটে অংশগ্রহণকারী দল, প্রার্থী ও পর্যবেক্ষক কারা, নির্বাচন আইনে কী রয়েছে এবং সে অনুযায়ী বিধি ভঙ্গ হচ্ছে কিনা- এমন সব বিষয় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জেনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কারিগরী দল।
নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় অবস্থান করা এই দলের সঙ্গে রোববার নির্বাচন ভবনে ইসি কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়।
পরে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী তথ্য ও সার্বিক পরিবেশের তথ্য পেয়ে তারা সন্তুষ্ট। নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনের পরের পরিবেশও তারা দেখবে।
“ইইউর চার সদস্যের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন, আমরা বসেছিলাম। তারা আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে থেকে নির্বাচনের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবেন। এ নিয়ে তাদের কিছু জানার ছিল। আমরা তা জানিয়েছি। নির্বাচনে প্রার্থী কত, পর্যবেক্ষক কত আসছে, এগুলো নিয়েও তারা জানতে চেয়েছেন।”
দলটি সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে জানিয়ে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের পরের পরিস্থিতি, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ হচ্ছে কিনা, তারা সকল বিষয় দেখবেন।
“বৈঠকে তারা মূলত আইনগুলো দেখতে চেয়েছে। এছাড়া বাংলা আইনের ইংরেজি চেয়েছে। তারা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ঘুরবে। প্রয়োজনে তারা কমিশনের সঙ্গেও বসবে। নির্বাচনী ভায়োলেন্সসহ তারা সকল বিষয় জানতে চেয়েছেন, তারা সারা দেশব্যাপী ঘুরবে। এজন্য নিরাপত্তা বিষয়টিতে আমরা হেল্প করব, এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছি।”
ইইউ দলটি ঢাকার বাইরে গেলে নিরাপত্তাজনিত কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এর আগে গত বুধবার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
এদিকে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশ আয়োজনের কথা রয়েছে। তবে ওই সভার বিষয়ে ‘অবগত নন’ বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় এ সমাবেশের কথা রয়েছে।
তবে তফসিল ঘোষণার পর দলের জনসভার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, “আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচারণামূলক সভার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলার বিষয় রয়েছে।
“জনসভা করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি না নিলে কী হবে তা আইনে বলা আছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।”
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থী ও দলের প্রচারের সুযোগ রয়েছে। তবে ১০ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সভাটি ‘নির্বাচনী কোনো সভা নয়’। এ ধরনের সভা আয়োজনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়।
আরও পড়ুন-
ইসির ‘প্রস্তুতি ও সক্ষমতা’ জানল ইইউ প্রতিনিধি দল
গ্রহণযোগ্য ও অংগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই: ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ রাষ্ট্রদূত