জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফরে তিস্তা প্রকল্পে চীনের অর্থায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার ‘সম্ভাবনার’ মধ্যে এমন খবর বেশ গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
Published : 24 Jun 2024, 12:53 AM
বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনায় চীনের অর্থায়ন প্রস্তাব ঝুলে থাকার মধ্যে তাতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত সরকার।
এর অংশ হিসাবে একটি কারিগরি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের কারিগরি দলের সফরকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ইতিবাচক’ হিসাবে বর্ণনা করলেও চীনের অর্থায়নের ক্ষেত্রে এটা বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।
শনিবার দিল্লিতে ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশকে সংযুক্ত করেছে ৫৪টি নদী। বন্যা ব্যবস্থাপনা, আগাম সতর্কতা, পানীয় জলের প্রকল্পের ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করছি। ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নের বিষয়ে কারিগরি পর্যায়ের আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।
“বাংলাদেশে তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি কারিগরি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।”
জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফরে তিস্তা প্রকল্পে চীনের অর্থায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার ‘সম্ভাবনার’ মধ্যে এমন ঘোষণার খবর বেশ গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, তিস্তা নদীর ড্রেজিং ও উন্নয়নের বিষয়ে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা পরিকল্পনায় ভারতের আগ্রহী হওয়ার ঘোষণা প্রকল্পটির বিষয়ে চীনের চাপের প্রেক্ষাপটে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
“চীনা কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার বিষয়ে ঢাকাকে নয়া দিল্লির উদ্বেগ জানানোর মধ্যে বেইজিং প্রায় ১০০ কোটি ডলারের আনুষ্ঠানিক প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছে।”
ভারতের এ ঘোষণার ফলে ওই প্রকল্পের বিষয়ে চীনের ‘চাপকে’ ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা আগামী মাসের বেইজিং সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য ‘সহায়ক’ হবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারত-চীনের ‘রেষারেষির’ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “তিস্তা নদী নিয়ে চীনের প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।”
দিল্লিতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অভিন্ন নদী নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেখানে তিস্তা নদী নিয়ে বা আমাদের যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের ৫৪টি যৌথ নদী রয়েছে এবং সেই যৌথ নদীর যদি আমরা একটা অভিন্ন ব্যবস্থাপনা করতে পারি, তাহলে সেটি দুই দেশকে উপকৃত করবে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা উপস্থাপন করেছিলাম, সেটা আলোচনা হয়েছে।
“রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা ভারতের সহায়তা চেয়েছি, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে। তখন চীনা প্রসঙ্গ এসছে, সেখানে জাতিগত যে সংঘাত চলছে, সেখানে চীনের ভূমিকা বিষয় এসছে। অন্য কোনো বিষয়ে চীন প্রসঙ্গই আসে নাই।”
ভারতের কারিগরি দলের আসন্ন সফর নিয়ে এক প্রশ্নে হাছান বলেন, “দেখুন, তিস্তাতো একটা বড় প্রকল্প, সেটার জন্য কারিগরি দলতো আসতেই হবে। কারিগরি দল আসা মানেতো এটি খুব ইতিবাচক।”
তিস্তা মহাপরিকল্পনা
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের আগে দুই দেশের পানি সম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিস্তার পানিবণটন চুক্তির বিষয়ে দুইপক্ষ একমত হয়েছিল।
মনমোহন সিংয়ের সফরেই বহু প্রতীক্ষিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় তা আটকে যায়।
নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার ভারতের ক্ষমতায় আসার পর তিস্তা চুক্তি নিয়ে আশার কথা শোনা গেলেও মমতার মত বদলায়নি।
ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি আটকে থাকার মধ্যে ‘তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রজেক্ট’ হাতে নেয় সরকার।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে বেইজিং সফরে এটিসহ আরো কয়েকটি প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সরকারের সহায়তা চেয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।
তিস্তা প্রকল্পে নদীটির উপকূল ব্যবস্থাপনায় অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়াও বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রীষ্মকালে পানি সংকট দূর করতে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলে সেসময় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল বিবিসি।
পরে এ প্রকল্পে চীনের সম্পৃক্ত হওয়ার খবরের মধ্যে ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রংপুরে এক অনুষ্ঠানে তখনকার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী খুব সিরিয়াস। আন্তর্জাতিক একটা ছোট ঝামেলা আছে, এ কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এটা হলে নদীর দুই পাড়ে বিশাল অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
“এ জন্য আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। সব কিছু ব্যালেন্স করেই এটা করা হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেই চাইছেন তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন হোক।”
প্রকল্পের কাজ আটকে থাকলেও গত ডিসেম্বরে এক অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছিলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। নির্বাচনের পর তা শুরুর আশা প্রকাশ করেন তিনি।
চীন রাষ্ট্রদূতের ওই বক্তব্য এবং এ প্রকল্প নিয়ে ভারতের আপত্তির প্রসঙ্গ তুলে এক প্রশ্নে ওই সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেছিলেন, “এ রকম অনুমাননির্ভর প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা সহজ নয়। এ রকম কোনো প্রস্তাব যদি থাকে, তখন ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় এগোতে হবে।”
এরপর জানুয়ারিতে নতুন সরকার গঠনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “তিস্তা নদী প্রকল্পের বিষয়ে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“বাংলাদেশের দিক থেকে প্রকল্প প্রস্তাব পেলে চীন তা বিবেচনা করবে এবং সহযোগিতা দেবে। এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখব।”
এরপর গত মাসে ঢাকা সফরে এসে তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে ভারতের আগ্রহের কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা।
মে মাসের ৯ তারিখে তার সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আমরা একটা বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে, সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়।”
ভারতের এমন আগ্রহের মধ্যেও ১২ জুন জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের কাছে ঋণ চেয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বৈদেশিক সাহায্য অনুসন্ধান কমিটির ৫১তম সভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের স্বার্থে সহজ শর্তের ঋণ পেতে চীন সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদী পাড়ের মানুষের দুঃখ লাঘবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় সমীক্ষা সম্পন্ন করে প্রায় ৮ হাজার ২১০ কোটি টাকার পিডিপিপি ২০২০ সালের আগস্টে ইআরডিতে দেওয়া হয়েছিল।
“এ ছাড়াও পিডিপিপি এ বিষয়ে চীন সরকার একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন গত বছরের ৫ মার্চে ইআরডিতে প্রেরণ করে। উক্ত প্রতিবেদনে বড় আকারের ভূমি উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং নৌ-চলাচল ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়ে অধিকতর বিশ্লেষণ না থাকা এবং বড় আকারের বিনিয়োগ বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।”
এরপর চীন সরকার প্রকল্পটি পর্যায়ভিত্তিক বাস্তবায়নের নিমিত্তে আরও বিশদ সমীক্ষার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাওয়ার চায়না কর্তৃপক্ষ চীন সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক গত বছরের ২৭ অগাস্ট ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট সংশোধনের প্রস্তাব বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
কী করবে কারিগরি দল
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা গণমাধ্যমের ব্রিফিংয়ে বলেছেন, অভিন্ন পানি সম্পদের ব্যবস্থাপনা ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী তিস্তা সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেখানে “ভালো রকমের কারিগরি ব্যবস্থাপনা দরকার। এটা সেভাবে পানিবণ্টনের বিষয় নয়, বরং তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ ব্যবস্থাপনার বিষয়।”
দিল্লিতে দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের উন্নয়ন সহযোগিতার অংশ হিসাবে, ভারতের সহযোগিতায় পারস্পরিকভাবে সম্মত সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করব আমরা।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশে তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত শেষ করার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।”
ভারত কারিগরি দল পাঠালে অর্থায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান রাতারাতি পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মুন্সি ফয়েজ আহমেদ।
চীনে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, “এই রকম আগেও ঘটেছে, আমাদের দুয়েকটা প্রস্তাব, প্রকল্প আমারা চীনের সাথে করতে গিয়েও করতে পারিনি। যেমন- মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর।
“সেটাতে ভারতের উদ্বেগের কথা বলা হয়, কিন্তু আমরা দিলাম জাপানকে। সুতরাং এগুলো ছোটখাটো সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু নিজেদের স্বার্থে আমাদের বুঝেশুনে করতে হবে।”
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা যেটা বলছি, কোয়াত্রা আগ্রহ প্রকাশ করার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাবলিকলি বলেছেন যে, আমরা চীনের কাছে এ ব্যাপারে অর্থ সাহায্য চেয়েছি। তো, এটা বলার অর্থ কি?
“তার মানে, উনি মোটামুটি নিশ্চিত, ওদের কাছ থেকে সাহায্য নেবেন। না হয় তিনিতো তখন চুপ থাকতে পারতেন, তাতো হননি। ভারত আগ্রহ প্রকাশ করার পরও তিনি প্রকাশ্যে এটা বলেছেন। তারপরে আগামী মাসে তিনি চীনে যাচ্ছেন, দেখা যাক না, কী হয়।”
অর্থায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরে ‘হতে পারে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি মনে করি হতে পারে। নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। এটা ঠিক, ভারত এই সময়ে এটা আনা… তাদের ইনটেনশন নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে।
“তারাতো এতদিন আমাদেরকে সাহায্য করার কথাটা কিছু বলে নাই। তারাতো জানে একটা প্রকল্প আছে। তারা এখন হঠাৎ করে এগিয়ে এল, যখন চীনের করার কথা। এটাতে তারা এক ধরনের বাগড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, অনেকে তাই মনে করে। কিন্তু এটা করে তাদের কোনো লাভ নাই।”
প্রকল্পের কিছু অংশে ভারতকেও সম্পৃক্ত করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তারা যেহেতু আমাদেরকে পানি দিচ্ছে না, নতুন করে পানি দেওয়ার আশ্বাস দেয়নি, সুতরাং আমরা আমাদের ভেতরে কী করছি, সেটা আমরা নিজেরা বুঝে দেখব।
“আমরা যদি দেখি যে, এই রকম সুযোগ আছে, যেহেতু প্রকল্পটা অনেক বড়, সেহেতু প্রকল্পের কিছু অংশে ভারতকেও হয়ত অংশীদার হিসাবে নিতে পারি। এটা আমার ধারণা।”
পুরনো খবর
তিস্তায় চীন-ভারতকে কীভাবে সামলাবে বাংলাদেশ
তিস্তা চুক্তি কেন হয়নি: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
তিস্তার জট খুলতে ভারতের সংসদীয় কমিটির সুপারিশ কোন বার্তা দিচ্ছে?
প্রস্তাব পেলে তিস্তা প্রকল্পে সহযোগিতা দেবে চীন, বললেন রাষ্ট্রদূত