Published : 07 May 2023, 06:18 PM
দুবাইয়ের বিতর্কিত সোনা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে দেশের আদালতে অস্ত্র মামলার রায় হবে আগামী ৯ মে।
রোববার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে এই দিন ঠিক করেন ঢাকার ১৪ নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুর্শিদ আহাম্মেদ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু জানান, গত ১৩ এপ্রিল এ মামলায় আত্মপক্ষ শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি রবিউল ওরফে আরাভ।
এর আগে ২৮ মার্চ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
আট বছর আগের এই মামলায় ওইদিন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার সবশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। মামলায় ২০ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি রবিউল ওরফে আরাভ তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে ঢাকার মগবাজারের বাসায় যান। পরে একটি গুলিভর্তি রিভলবারসহ বাসার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিনই রবিউলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে রমনা থানায় মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন এসআই সুজন কুমার কুণ্ডু।
তদন্ত শেষে একই বছরের ১ মার্চ অভিযোগপত্র জমা দেন ডিবি পুলিশের এসআই শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
পরে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরুর আদেশ আসে ১০ মে।
এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন নিয়ে পলাতক হন রবিউল। ওই বছরের ২৪ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে আদালত।
সম্প্রতি দুবাইয়ে আরাভ খান ঘটা করে তার সোনার দোকান উদ্বোধন করলে পুলিশ জানায়, আরাভই দেশে রবিউল নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি আরাভ খান নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে পাড়ি জমান।
রবিউলের বিরুদ্ধে দেশে পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যামামলার বিচারও চলছে।
হত্যার আসামি রবিউলই দুবাইয়ের আরাভ খান, বলছে পুলিশ
মামুন হত্যা: রবিউলসহ আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণেই ৮ মাস
অস্ত্র মামলা দায়েরের চার মাস পর ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকার বনানীতে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) মামুন খুন হন। সেই মামলায় আরাভকে পলাকত দেখিয়েই ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর অভিযোগ গঠন হয়।
দুবাইয়ে সোনার দোকান উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শনাক্ত হওয়ার পর আরাভকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা চায় বাংলাদেশ পুলিশ।
এরপর গত ৪ মে ফেইসবুক লাইভে এসে আরাভ দাবি করেন, দুবাইয়ে তিনি 'ইন্টারপোলের হাতে' গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জেল খেটেছেন ৩৭ দিন।
অবশ্য ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারপোল কাউকে গ্রেপ্তার করে না, তাদের কোনো কারাগারও নেই।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আরাভের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।