রোজার মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় সারাদেশে সব মসজিদে একই মাত্রায় এগোনোর আহ্বান জানানো হয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলেছে, রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ‘ভিন্নতা’ পরিলক্ষিত হয়। তাতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী মুসলমানদের কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না।
“এ পরিস্থিতি নিরসন কল্পে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৬ রমজান দিবাগত রাতে, অর্থাৎ শবে কদরে কোরআন খতম করা সম্ভব হবে।
“এমতাবস্থায় দেশের সকল মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে এবং পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে শবে কদরে কোরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সকল মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”
বুধবার সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে বুধবার রাতে এশার নামাজের পর ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়া শুরু হবে। শেষ রাতে সেহেরি খেয়ে রোজা রাখবেন মুসলমানরা।