Published : 05 May 2025, 08:42 PM
অবৈধভাবে যেন আর ইতালিতে কেউ না যায় সে ব্যাপারে বাংলাদেশকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতিও পিয়ানতেদোসি।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইতালি ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৈঠকের আগে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “অ্যারাবিয়ান কান্ট্রির পর ইতালিতে বেশি লোক আমাদের দেশের। ইতালির সাথে আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে ব্যাপারে আলাপ হয়েছে।
“ইতালিতে যারা কাজ করছে তারা যেন প্রপার ভিসা নিয়ে প্রপার চ্যানেলে যায়, এজন্য তারা বলেছে।”
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা খুব পরিশ্রমী ও দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন।
“দেশটি নতুন করে বৈধপথে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহী। তবে অন্য দেশের ভিসা নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার প্রবণতাকে তারা সম্পূর্ণরূপে নিরুৎসাহিত করেছে। এখন প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি সেখানে কাজ করছে। উনারা নতুন করে লোক নিবে, সেটা প্রপার চ্যানেলে হতে হবে ।”
অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা এবং নিরাপত্তা খাতে সহায়তা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ইতালির পুলিশ মাফিয়া চক্রসহ সংগঠিত ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে পারদর্শী। সেজন্য এসব বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও কোস্টগার্ডের দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধি বিশেষ করে প্রশিক্ষণে ইতালির সহায়তা কামনা করেছি। তারা এগ্রি করেছে।”
গাজীপুরে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “এ ঘটনায় ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদের কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
বৈঠকে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ, অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধ নেটওয়ার্ক দমনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার এবং নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।
ইতালির পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোমেটিক অ্যাডভাইজার ম্যাক্রো ভিলানি, ডেপুটি হেড অব কেবিনেট সাবিনা মাদারো, ইমিগ্রেশন ও বর্ডার পুলিশের সেন্ট্রাল ডিরেক্টর ক্লদিও গ্যালজেরানো উপস্থিত ছিলেন।