‘জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী’ কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

মন্ত্রী বলেন, “আন্দোলনের নামে অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।”

বৃহস্পতিবার সিআইডি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

জনগণ দুর্ভোগের শিকার হয় এমন কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বৃহস্পতিবার সিআইডি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সুস্থভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করলে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। আন্দোলনের নামে কোনো অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করবে।”

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “সিআইডি বাংলাদেশ পুলিশের প্রযুক্তি, বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতা সমন্বিত সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থা। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ড, সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, চট্টগ্রামের দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা এই বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে তদন্ত করেছে।”

অর্গানাইজড ক্রাইম, ফরেনসিক বিভাগসহ সিআইডির অন্যান্য সব ইউনিটের কর্মদক্ষতা ও কর্মতৎপরতা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

আধুনিক তদন্ত প্রশিক্ষণ ও জনসচেতনতার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব মন্তব্য করে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে বলেন, “ভারতের তদন্ত সংস্থা সিবিআই ও আমেরিকার তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের মত সিআইডিও বিশ্ব পরিমণ্ডলে সুনাম অর্জন করবে।”

পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট গভর্নেন্স। আর স্মার্ট গভর্নেন্সের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলা। যেটা সিআইডি বিভিন্ন গুণগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জন করছে। এ কারণেই সিআইডির তদন্তের নৈপূণ্য বিবেচনা করে মানিলন্ডারিং মামলা তদন্তের দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে।”

সিআইডির অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)-এর অতিরিক্ত আইজি মনিরুল ইসলাম এবং প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থীসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন কোর্সে অংশগ্রহণকারী ৪৫০ জনের মধ্যে মেধাতালিকার ভিত্তিতে ২১ জন এবং চারজন প্রশিক্ষককে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। এছাড়া সিআইডির কর্মকর্তাদের উপস্থাপিত গবেষণার সারসংক্ষেপ সম্বলিত ‘রিসার্চ অ্যাবস্ট্রাক্ট’-এর মোড়ক উম্মোচন করা হয় অনুষ্ঠানে।