রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বন্ধের ছয় দাবিতে কমলাপুর স্টেশনে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি এবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
সোমবার বিকালে রনি তার সহযোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। তা গ্রহণ করেন ক্ষমতাসীন দলের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
সায়েম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহিউদ্দিন রনি আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি সেটা গ্রহণ করেছি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটা পাঠিয়ে দেব।”
স্মারকলিপি দেওয়ার পর পরই মহিউদ্দিন রনিকে রেলভবনে ডাকেন রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার।
এক ফেইসবুক পোস্টে রনি বলেন, “স্মারকলিপি দিলাম আধাঘণ্টাও হলো না। এরমধ্যেই সচিব মহোদয় এবং রেলওয়ের ডিজি ডাকলেন রেলভবনে সাড়ে ৫টার মধ্যে থাকতে। যাই হোক, রেলভবনে যাচ্ছি। শুনে আসি কী বলেন।”
রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ জানিয়ে ছয় দফা দাবিতে ৭ জুলাই থেকে কমলাপুর টিকেট কাউন্টারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
মঙ্গলবার ছয় দফা দাবি জানিয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারকে স্মারকলিপি দেন রনি। এরআগে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে রেলভবন পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে রনির বন্ধু-বান্ধবসহ একদল শিক্ষার্থীকেও অংশ নিতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়ার বিষয়ে রনি বলেন, “রেল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদানের পর ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েও কোনো সমাধান হয়নি। তাই আজকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিলাম। নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী একটা আশ্বাস দেবেন। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি পড়লে এই ছয় দফা দাবিও বাস্তবায়ন হবে।”
এর আগে রোববার বিকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে রনির কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্টেশন ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলতে কমলাপুর স্টেশনে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু নিরাপত্তাকর্মীরা প্রধান ফটক তালাবদ্ধ রেখে তাদের প্রবেশ আটকে দেন।
পরে তিনি ফটকের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রায় ৭ ঘণ্টা অবস্থান করেন। রাত ৯টার দিকে সেখানে যান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তবে তারা কেউই রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ পাননি।
সাক্ষাৎ না পেয়ে রাত ১১টার দিকে তারা ফিরে আসেন এবং ওই দিনের মতো কর্মসূচি শেষ করেন।