মেট্রোরেল ভ্রমণে এমআরটি পাস কার্ডও ব্যবহার করা যাবে। মেট্রো স্টেশনে দুই ধরনের কার্ডই রিচার্জ করা যাবে।
Published : 20 Dec 2024, 10:58 PM
মেট্রোরেল ভ্রমণের ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পাস কার্ডের সঙ্কট থাকায় এর বিকল্প হিসেবে র্যাপিড পাস কার্ড বিক্রি শুরু করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
আগে মেট্রো স্টেশনে শুধু এমআরটি পাস কার্ড বিক্রি করা হত, আর র্যাপিড পাস কার্ড বিক্রি হত ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে। এখন ডিএমটিসিএল স্টেশনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমানে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছে এরআরটি পাস কার্ড নেই; নতুন করে কেনার কোনো পরিকল্পনাও নেই তাদের।
“এমআরটির বিকল্প হিসেবে র্যাপিড পাস বিক্রি করা হচ্ছে, সামনেও বিক্রি করা হবে। যারা আগে এমআরটি পাস কিনেছে সেগুলো যদি কোন কারণে কেউ ফিরিয়ে দেয়, তখন বিক্রি করা হবে।”
এ বিষয়ে সন্ধ্যায় নিজেদের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে একটি ‘বিশেষ ঘোষণা’ দিয়েছে ডিএমটিসিএল।
এতে বলা হয়েছে, মেট্রো স্টেশনগুলোতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে র্যাপিড পাস বিক্রি শুরু হয়েছে। এমআরটি পাসের পরিবর্তে এখন র্যাপিড পাস কেনার জন্য যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যাতায়াতের জন্য এমআরটি পাসও ব্যবহার করা যাবে। মেট্রো স্টেশনে দুই ধরনের কার্ডই রিচার্জ করা যাবে।
একক যাত্রার টিকেটের সঙ্কট থাকার কথাও জানিয়েছেন মোহাম্মদ আবদুর রউফ। সেজন্য কর্তৃপক্ষ নতুন বছরের মার্চের মধ্যে ৪ লাখ ৪০ হাজার টিকেট আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবদুর রউফ বলেন, সোমবারের মধ্যে ২০ হাজার কার্ড স্টেশনে চলে আসবে। মাসের শেষ দিকে আরও ৩৬ হাজার পাব। এভাবে ধাপে ধাপে মার্চের মধ্যেই কার্ডগুলো পেয়ে যাব।”
এর আগে মেট্রোরেলে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় টিকেটের বিকল্প হিসেবে কিউআর কোড পদ্ধতি চালু করে ডিএমটিসিএল।
যাত্রীর চাপ সামলাতে মেট্রোরেলে আসছে কিউআর কোড
মেট্রোরেল: ২ লাখ টিকেট যাত্রীদের পকেটে কীভাবে
ঢাকায় মেট্রো রেলের যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকেট দেওয়া হয়। একটি এমআরটি পাস কার্ড বা র্যাপিড পাস, অন্যটি একক যাত্রার টিকেট। এমআরটি ও র্যাপিড পাস কার্ড কেনার পর টাকা না ফুরানো পর্যন্ত তা ব্যবহার করা যায়।
একক যাত্রা করা যাত্রীদের স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক টিকেট কিনতে হয়। গন্তব্যে পৌঁছার পর স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেই টিকেট ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক। মেট্রোরেল চালুর সময় একক যাত্রার ২ লাখ ৪৮ হাজার টিকেট দেওয়া হয়েছিল।
গত ১৪ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেছেন, “১৩ হাজার টিকেট নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ২ লাখ টিকেট যাত্রীরা বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন।
“কার্ড ফেরত দেওয়ার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়। তাতে কিছু কার্ড ফেরত আসে। সব মিলিয়ে বর্তমানে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে একক যাত্রার প্রায় ৪০ হাজার টিকেট আছে।”