ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এর আগে স্টেশনে যাত্রীদের পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আসার অনুরোধ ডিএমটিসিএলের।
Published : 17 Dec 2024, 11:23 PM
মেট্রোরেলে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় টিকেটের বিকল্প হিসেবে কিউআর কোড পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, এই পদ্ধতি চালু করতে দরপত্র আহ্বানের কাজটি বুধবার থেকে শুরু হবে।
কিউআর কোড দুইভাবে ব্যবহার করার কথা ভাবছে মেট্রোরেল পরিচালনকারী কোম্পানি ডিএমটিসিএল। একটি পদ্ধতিতে যাত্রীরা স্টেশনে এসে কার্ড স্ক্যান করে ভ্রমণ করবেন। দ্বিতীয়টি হতে পারে মোবাইলে মাধ্যমে; যাত্রীরা স্টেশনে কিউআর কোড স্ক্যান করবেন।
স্টেশনে কিআর কোডের জন্য আলাদা গেট থাকতে পারে, যা নিয়েও আলোচনা চলছে, বলেন এমডি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার নিজেদের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে একটি ‘বিশেষ ঘোষণা’ দিয়েছে ডিএমটিসিএল।
এতে বলা হয়েছে, “যাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীবহুল মেট্রো স্টেশনগুলোয় ‘সিঙ্গেল জার্নির’ টিকেট ইস্যু করতে বেশি সময় লাগছে।
“এছাড়া সিঙ্গেল জার্নি (একক যাত্রার) টিকেট নির্দিষ্ট স্লটে জমা না পাওয়ায় এবং যৌক্তিক কারণে বেশ কিছু টিকিটের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সাময়িক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত সিঙ্গেল জার্নির টিকিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া বিকল্প পদ্ধতি কিউআর কোড চালুর মাধ্যমে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
‘বিশেষ ঘোষণায়’ বলা হয়, “আশা করা যায় ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যাত্রীদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে স্টেশনে আসার জন্য সম্মানিত যাত্রীদের বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে ফাইলে অনুমোদন দিয়েছি। কাল (বুধবার) থেকেই সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে দরপত্র আহ্বানের কাজটি শুরু হবে।
“পিপিআরের যে বিধান, জরুরিভিত্তিতে অল্প সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করে দরপত্র আহ্বান করব। যে প্রতিষ্ঠান আমাদের বেশি সুযোগ দেবে, কম মূল্যে পাব, তাদের আমরা কাজটি দেব। এটা শিগগির করার চেষ্টা করছি আমরা।”
তিনি বলেন, “আগামী মার্চের মধ্যে ডিএমটিসিএলে চার লাখ টিকেট যোগ হচ্ছে। কিউআর কোড থাকছে বিকল্প হিসেবে।”
ঢাকায় মেট্রো রেলের যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকেট ইস্যু করা হয়। একটি এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস, অন্যটি একক যাত্রার টিকেট। র্যাপিড পাস কেনার পর টাকা না ফুরানো পর্যন্ত তা ব্যবহার করতে পারেন।
একক যাত্রা করা যাত্রীদের স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক টিকেট কিনতে হয়। গন্তব্যে পৌঁছার পর স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেই টিকেট ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক। মেট্রোরেল চালুর সময় একক যাত্রার ২ লাখ ৪৮ হাজার টিকেট দেওয়া হয়েছিল।
গত ১৪ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, “১৩ হাজার টিকেট নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ২ লাখ টিকেট যাত্রীরা বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন।
“কার্ড ফেরত দেওয়ার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়। তাতে কিছু কার্ড ফেরত আসে। সব মিলিয়ে বর্তমানে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে একক যাত্রার প্রায় ৪০ হাজার টিকেট আছে।”