ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নেটওয়ার্ক জটিলতায় সকাল থেকে অ্যাপসে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
Published : 29 May 2024, 02:23 PM
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রথম চার ঘণ্টায় গড়ে ২০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নেটওয়ার্ক জটিলতায় সকাল থেকে অ্যাপে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
“ফলে আমরা ম্যানুয়ালি ভোটের হারের তথ্য সংগ্রহ করছি। কোথাও ১৬, কোথাও ১৭, কোথাও ২০ পারসেন্ট ভোট পড়েছে। এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী গড়ে ২০ পার্সেন্টের নিচে ভোট পড়েছে।”
দিনশেষে ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা বাড়বে বলেও আশা করেন জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, “উত্তরাঞ্চলে ভোটার উপস্থিতি ভালো। দক্ষিণাঞ্চলে ভোটার উপস্থিতি কম।"
বড় গোলযোগ নেই
দুপুর পর্যন্ত সব জায়গায় ‘শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে’ জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, “বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ আট হাজার ৪৫০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নয়টা ব্যালট বই ছিনতাই হয়েছে। তাই ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।”
এছাড়া বরাদ্দ করা প্রতীকের সঙ্গে ব্যালট পেপারে ছাপানো প্রতীকের মিল না থাকায় বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, “কমিশন সংরক্ষিত প্রতীক রয়েছে 'কোন আইসক্রিম'। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার বরাদ্দ দিয়েছে কাঠিওয়ালা আইসক্রিম। ব্যালটেও ছিল কোন আইসক্রিম। রিটার্নিং অফিসারের বিভ্রাটের কারণে ওই পদের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।”
তবে ওই উপজেলায় চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের ভোট চলছে।
এছাড়া অনিয়মের অভিযোগে ফেনী সদরের একটি কেন্দ্রে একজন প্রিজাইডিং অফিসারসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গত ৮ মে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে এই হার খানিকটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ শতাংশে।
তৃতীয় ধাপে ভোটার আছেন ২ কোটি ৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৪ জন। ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণে তফসিল ঘোষণা করা হলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে পরে ২২ উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়।
এর বাইরে নরসিংদীর রায়পুরায় ভোট আটকেছে এক প্রার্থী খুনের ঘটনায়। আইনি জটিলতায় ভোট স্থগিত হয়েছে যশোর সদরে। আর পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সেখানে ভোটের প্রয়োজনই পড়ছে না।
পুরনো খবর