গাবতলীতে ১৫ তলার চারটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ৭৮৪ জন পরিচ্ছন্নকর্মী এখানে থাকার সুবিধা পাবেন।
Published : 03 Jul 2024, 06:28 PM
ঢাকা সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য চারটি বহুতল ভবন নির্মাণের ব্যয় ৪৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকার গাবতলীতে নির্মাণ হতে যাওয়া ভবন চারটির জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ১৮২ কোটি টাকার কিছু বেশি। নির্মাণ ব্যয়ে তৃতীয় সংশোধনীতে ব্যয় দাঁড়াল ২৩০ কোটি টাকা।
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে আনা সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ১৫ তলা চারটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ৭৮৪ জন পরিচ্ছন্নকর্মী এখানে থাকার সুবিধা পাবেন।
মোট চারটি প্যাকেজে নির্মাণ হচ্ছে ভবনগুলো।
প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ-২ তে মূল চুক্তিমূল্য ৪৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা থেকে ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকা বাড়িয়ে ৬২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।
প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ-৩ এ মূল চুক্তিমূল্য ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৬১ টাকা থেকে ১১ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৯৫ টাকা বাড়িয়ে ৬১ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৭ টাকা করা হয়েছে।
প্যাকেজ ডব্লিউ-৪ এর মধ্যে চুক্তিমূল্য ৫১ কোটি ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ টাকা থেকে ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৫ হাজার ৬৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৫ টাকা করা হয়েছে।
প্যাকেজ ডব্লিউ-৫ এর মূল চুক্তিমূল্য ৩২ কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ২৮০ টাকা থেকে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ২৬ টাকা বাড়িয়ে ৪১ কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার ৩০৭ টাকা করা হয়েছে।
সচিব জানান, ভবনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না, সংশোধনে এটা যুক্ত করা হচ্ছে। ড্রেন ও ফুটপাথ সংযোজন করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক সাব স্টেশনের স্থান পরিবর্তন ও ড্রয়িং ও ডিজাইন পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এতে প্রতিটি প্যাকেজের দর ২৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, “প্রকল্প এলাকায় সয়েল টেস্ট পর্যালোচনায় মাটির প্রকৃতির অস্বাভাবিকতার কারণে পাইলিংয়ের ডিজাইন পরিবর্তন হয়। আগের ডিজাইন মোতাবেক পাইল ক্যাপ ও ফ্লোর ভিমের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
“মূল ভবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রুফটপ কলাম, ডেকোরেশন বিম, নিরাপত্তার জন্য বারান্দায় রেলিংয়ের পরিবর্তে গ্রিল, ভবনের চার পাশে সম্পূর্ণ রূপ গ্রিল এবং গ্রাউন্ড ফ্লোরে পার্কিং টাইলস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
আর যেসব সিদ্ধান্ত
বৈঠকে আরও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিলেট-১১ উন্নয়ন কূপ ও রশিদপুর-১৩ অনুসন্ধান কূপ খনন কাজ দেওয়া হয়েছে চীনের চিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশনকে।
কূপগুলো সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানির আওতায়। চীনের এই কোম্পানির সঙ্গে ৪৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৩ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অনুমোদন পেয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড।
প্রতি ইউনিট (এমএমবিটিইউ) ১৩ দশমিক ৫৫ ডলার মূল্যে এক কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন পেয়েছে জ্বালানি বিভাগ। চলতি বছরে এটি খোলা বাজার থেকে ২১তম এলএনজির চালান। আগের মূল্য ছিল প্রতি ইউনিট ১২ দশমিক ৯৬ ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির কাছ থেকে পাওয়া এই এলএনজি কার্গোতে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ মোট খরচ হচ্ছে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৭ টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সৌদি আরবের মাদায়েন থেকে সপ্তম লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।
প্রতি টন ৫২৩ ডলার হিসাবে মোট খরচ হবে ২৪৬ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এর আগের লটে প্রতি টন কেনা হয়েছিল ৫১৯ ডলারে।
একই মন্ত্রণালয় রাশিয়ার প্রোডিংটন থেকে চলতি বছরে প্রথমবারের মত ৩০ হাজার টন এমওপি সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। প্রতি টন ২৭৫ দশমিক ৫০ ডলার হিসাবে এতে মোট খরচ হবে ৯৭ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।