সরকারি কাজে নিয়োজিত নন, এমন সদস্যরা কমিশন সভায় অংশ নিলে প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা এবং সরকারি চাকরিজীবীরা ৫ হাজার টাকা সম্মানী পাবেন।
Published : 10 Oct 2024, 12:20 AM
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে যে ছয় কমিশন করেছে, সেই সব কমিশন প্রধানরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৩ অক্টোবর গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ৬ অক্টোবর গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন; এই সব কমিশনের প্রধান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন।
কমিশন সভায় অংশ নিয়ে কে কত টাকা ভাতা পাবেন, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলে দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি কাজে নিয়োজিত নন, এমন সদস্যরা কমিশন সভায় অংশ নিলে প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা এবং সরকারি চাকরিজীবীরা ৫ হাজার টাকা সম্মানী পাবেন।
কমিশন প্রধান ও কমিশন সদস্যদের সুযোগ-সুবিধার বিষয় তাদের ওপরও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য বেতন ছাড়া কাজ করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা না নিতে চাইলে সেটি প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ছয় সংস্কার কমিশন তাদের কার্যক্রম শুরু করার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে তা শেষ করবে। সে দিন তিনি ছয় কমিশনের প্রধানদের নাম ঘোষণা করেছিলেন।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে।
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র ও সংস্থাপন সচিব সফর রাজ হোসেন।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২০০১ সালে লতিফুর রহমান নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানকে দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারবিষয়ক কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব ।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব প্রথমে দেওয়া হয়েছিল আইনজীবী শাহদীন মালিককে। তার নাম ঘোষণার ১০ দিনের মাথায় এ পদে পরিবর্তন আসে। তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রিয়াজকে।
কমিশনগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটির দুই-একটি করে বৈঠক হয়েছে।