হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে দেশ।
Published : 23 Dec 2024, 01:16 PM
মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
সোমবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় তার তার ছেলে মুয়াজ আরিফ, পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে বাসায় খেতে বসে শুক্রবার প্রবীণ এই আইনজীবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
হাসান আরিফের মৃত্যুতে এদিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে দেশ। সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
হাসান আরিফকে স্মরণ করল উপদেষ্টা পরিষদ, জানাল শোক
উপদেষ্টা হাসান আরিফের জন্য সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
উপদেষ্টা হাসান আরিফের রুহের মাগফিরাতের জন্য সোমবার সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় হাসান আরিফের জন্ম। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি করেন।
১৯৬৭ সালে কলকাতা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তিনি সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী ছিলেন ‘এএফ হাসান আরিফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ চেম্বারের প্রধান।
উপদেষ্টা হাসান আরিফের দাফন সোমবার
উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ আর নেই
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে ১৯৮২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৮৫ সালের অগাস্ট পর্যন্ত তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।
পরে ১৯৮৫ সালের অগাস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।
হাসান আরিফ ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের একজন প্যানেল সদস্য ছিলেন তিনি।