Published : 28 Feb 2023, 03:47 PM
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাকি পাঁচ বিভাগের জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আরো দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সময় কমাতে এভাবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ধাপে ধাপে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
মঙ্গলবার ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পাঁচটি বিভাগকে দুই গুচ্ছে ভাগ করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
“ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগে যাওয়ার জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে কারণে আপনারা দেখেছেন রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগ মিলে আমরা একটি ক্লাস্টার করেছি। কারণ, সেই তিনটি বিভাগে তুলনামূলকভাবে আমাদের বেশি শূন্য পদ আছে। যে কারণে এই তিনটি বিভাগকে মিলিয়ে একটি ক্লাস্টার করেছি।”
সচিব বলেন, “বাকিগুলোকে (পাঁচ বিভাগ) নিয়ে আমরা একটা-দুইটা ক্লাস্টার করব এবং আগামী সপ্তাহে একটা বিজ্ঞপ্তি যাবে, তার পরের সপ্তাহে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি যাবে। অর্থাৎ সাত দিন ফাঁকা দিয়ে দিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমরা আরও দুইটা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেব, সকল বিভাগের।”
পিডিইপি-৪ এর আওতায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য রাজস্ব খাতে ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে সহকারী শিক্ষক পদে তিনটি বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কতগুলো শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে তা উল্লেখ করা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে।
তিন বিভাগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
তিন বিভাগের স্থায়ী বাসিন্দারা যোগ্যতা ও শর্ত অনুযায়ী আগামী ১০ মার্চ থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন গ্রহণ শেষ হবে ২৪ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। আবেদন ফি ২২০ টাকা।
সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ ৪ হাজারের মধ্য থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬ হাজার শিক্ষক অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএলে) যান।
“আমরা সর্বশেষ নিয়োগটা করেছি, বড় নিয়োগ, ৩৭ হাজার ৫৭৪ শিক্ষককে নিয়োগ দিয়েছিলাম। ২০২০ সালে সেটার বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল, ২০২২ সালে এসে আমরা নিয়োগ দিয়েছি। দুই বছর সময় লেগেছে। বুয়েটের সর্বোচ্চ কারিগরি সহায়তা নিয়ে। এর মধ্যে আমাদের প্রতি বছর প্রায় ৬ হাজার করে শিক্ষক পিআরএলে চলে যায়।”
অনেক বেশি সময়ক্ষেপণ হওয়ায় বুয়েটের সঙ্গে পরামর্শ করেই গুচ্ছপদ্ধতিতে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন সচিব। তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়াটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হওয়া দরকার। শিক্ষকরা পিআরএলে যাবে, নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
“যে কারণে বুয়েটের সাথে আমাদের এই কমিটি আলোচনা করেছে এবং তারা বলেছে, আমরা যদি ক্লাস্টার ভিত্তিক নিয়োগে যেতে পারি, অর্থাৎ বিভাগভিত্তিক নিয়োগে যেতে পারি, তাহলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে আমরা শিক্ষক নিয়োগ করতে পারব।”
বিভাগওয়ারী যেসব শূন্যপদ আছে, সেগুলো আগামী এক বছরের মধ্যে পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলেও জানান সচিব।
আরও পড়ুন-