প্রাথমিক বৃত্তি পাচ্ছে ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী

ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পাবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2023, 07:56 AM
Updated : 28 Feb 2023, 07:56 AM

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে; এ বছর বৃত্তি পাচ্ছে মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জন ছাত্রছাত্রী।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এবার ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) ৩৩ হাজার জন এবং ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জনকে এবার বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পাবে। তাছাড়া উভয় ধরনের বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বছর ২২৫ টাকা করে এককালীন দেওয়া হবে।

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধদিপ্তরের ওয়বেসাইট www.dpe.gov.bd এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপজেলা বা থানায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা বা থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বণ্টন করা হয়। সাধারণ বৃত্তি বিতরণ করা হয় ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক।

এ বছর সাধারণ গ্রেডে বৃত্তির ক্ষেত্রে ৮ হাজার ১৪৫টি ইউনিয়ন বা পৌরসভা ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ছয়টি (৩ জন ছাত্র এবং ৩জন ছাত্রী) হিসেবে ৪৮ হাজার ৮৭০টি এবং বাকি ৬৩০টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি উপজেলা/থানায় একটি করে ৫১৩টি উপজেলা/থানায় ৫১৩টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চম শ্রেণি পেরিয়ে মাধ্যমিকে পা রাখা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারা কারা সরকারি বৃত্তি পাবে, তা নির্ধারণে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা হয়। সারা দেশের ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী তাতে অংশ নেয়।

দেশের প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মোট শিক্ষার্থীর ২০ শতাংশকে এবার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা হয়। মোট নম্বর ছিল ১০০; সময় ছিল-২ ঘণ্টা।

এভাবে আলাদা করে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হত এক যুগ আগে। ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হওয়ার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়।

মহামারীর কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। পরে জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম যেহেতু চালু হচ্ছে, সেহেতু সমাপনী পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না।

এ পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ২০২২ সালের শেষে আবারও আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়।

পুরনো খবর

এক যুগ পর প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় বসল শিক্ষার্থীরা

বৃত্তি পরীক্ষায় ফেরা ভালো হল? অভিভাবকরা বিভক্ত