বিয়ামে এসি বিস্ফোরণে অফিস সহায়কের মৃত্যু

ফায়ার সার্ভিসের দুটো ইউনিট পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়।

ঢাকার ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশনের একটি অফিস কক্ষে ভোররাতে এসি বিস্ফোরণে একজন অফিস সহায়কের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার ভোররাতের এ ঘটনায় আরেকজন গাড়িচালকও আহত হয়েছেন। হতাহত দুজনই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন বিয়ামের কর্মী।

ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, ভোর ৩টা ৩৪ মিনিটে ফোন পেয়ে তাদের তেজগাঁও স্টেশন থেকে দুটো ইউনিট সেখানে যায়। ভোর সোয়া ৪টার দিকে তারা আগুন নেভায়।

বিয়ামের ওই স্থাপনায় বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি মিলনায়তন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে দশ তলা ভবনের পাঁচ তলায় বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির একটি অফিস কক্ষে আগুন লাগে। বৈদ্যুতিক গোলোযোগ থেকে সেখানে এসিতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে খালেদা ইয়াসমিন জানান।

নিহত অফিস সহায়ক আব্দুল মালেক খান (৪০) বিয়ামের একটি কক্ষেই থাকতেন। আহত গাড়িচালক মো. ফারুকের (৪০) অবস্থা গুরুতর নয়।

হাতিরঝিল থানার এসআই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “বিয়াম ভবনের ৪০৭ নম্বর কক্ষে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আব্দুল মালেককে উদ্ধার করে সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

মালেকের ছোট ভাই সোহেল খান ঢাকা মেডিকেলের মর্গে সাংবাদিকদের বলেন, তার বড় ভাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক পদে চাকরি করতেন। রাতে তিনি অফিসেই ঘুমাতেন। রাতের কোনো সময় রুমের এসি বিস্ফোরিত হয় বলে তিনি শুনেছেন।

তবে ওই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোহেল খান বলছেন, “আমার ভাই রেগুলার ঘুমাইতো ৫০৪ নম্বর রুমে। উনি কেন ৪০৭ নম্বর রুমে গেলেন সেটা আমাদের কাছে রহস্য।”

তাদের আরেক ভাই আব্দুল মালেক খানও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক পদে চাকরি করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে।