“পর্যাপ্ত পাটের ব্যাগের সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার হবে। প্রয়োজন হলে কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ করা হবে”, বলেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা।
Published : 27 Oct 2024, 05:05 PM
নভেম্বর প্রথম দিন থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে কঠোর মনিটরিং ও অভিযান শুরুর কথা বলেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। জানিয়েছেন, বাজারের পাশাপাশি অভিযান চলবে উৎপাদনের স্থলেও।
রোববার সচিবালয়ের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বিশেষ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ বাস্তবায়ন এবং পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “১ নভেম্বর থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর মনিটরিং চালু করা হবে। পাশাপাশি পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে। কোনো সুপারশপ পলিথিন শপিং ব্যাগ সরবরাহ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
২০০২ সালে সরকার আইন করে সাধারণ পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করার প্রায় দুই যুগেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। পলিথিনের এই অতি ব্যবহার পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পলিথিন যে নিষিদ্ধ, সেটাই 'ভুলেছে' মানুষ
ব্যাগগুলো পচনশীল নয় এবং নালায় আটকে থাকায় স্তূপ পানি নিষ্কাষণেও বাধা তৈরি করে, যে কারণে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা এক সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
গত ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা পলিথিন নিষিদ্ধের আইনের কঠোরভাবে প্রয়োগের ঘোষণা দেন। এর অংশ হিসেবে গত ১ অক্টোবর থেকে সুপার শপে এই ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। ১ নভেম্বর থেকে বাজারেও ব্যাগটির ব্যবহার করা যাবে না- এমন ঘোষণা আছে সরকারের।
রিজওয়ানা জনসচেতনতায় জোর দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “মানুষ যদি পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে, তাহলে উৎপাদনও বন্ধ হবে। এজন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে। পলিথিন ব্যাগের ক্ষতিকর প্রভাব বুঝে মানুষ যেন এটি থেকে সরে আসে, সে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
পলিথিনে না দিলে 'কিসে দিমু'! অবাক বিক্রেতা
সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে।”
পর্যাপ্ত পাটের ব্যাগের সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “প্রয়োজন হলে কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ করা হবে।”
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।