“ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যা করছে তা কোন যুদ্ধ না, এটা গণহত্যা,” বলেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
Published : 19 Apr 2025, 09:43 PM
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, গাজায় শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করতে না পারে।
তারা বলেন, এই গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এখন আর শুধু দেড়শ কোটি মুসলমানের দায়িত্ব না বরং সাতশ কোটি মানবিক হৃদয়ের দায়িত্ব।
শনিবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ‘ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি’ আয়োজিত সংহতি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যা করছে তা কোন যুদ্ধ না, এটা গণহত্যা।
নির্বিচারে, নৃশংস উপায়ে এবং ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা করা হচ্ছে। সেখানে যে গণহত্যা হচ্ছে তার একটি পক্ষ হলো পুঁজিবাদী পক্ষ। যারা ফ্যাসিবাদের রূপ ধারণ করেছে।”
তিনি বলেন, ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে, ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো এখন আর শুধু দেড়শ কোটি মুসলমানের দায়িত্ব না বরং সাতশ কোটি মানবিক হৃদয়ের দায়িত্ব।
সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনকে মুছে ফেলতে এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। সেখানে যাদের মারা হচ্ছে তার ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু।
“শিশুদের মেরে ফেলা হচ্ছে যাতে তারা ভবিষ্যতে ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করতে না পারে। যুদ্ধবিরতির সকল ধরনের নীতিমালা ভূলন্ঠিত করে ইসরায়েল আবার হত্যাযজ্ঞ শুরু করছে।
“পূর্বে ইসরায়েলের এই হত্যাযজ্ঞের পৃষ্ঠপোষক ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, আর এখন সেই পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে চাইলে ভারতের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। আবার ভারতের সাম্রাজ্যবাদ রুখতে আমেরিকা কোলে বসা যাবে না।
সংহতি সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধকে ন্যায়সঙ্গত হিসেবে তুলে ধরে পাঁচ দফা দাবি তুলতে জনগণকে আহ্বান জানায় ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি, বাংলাদেশ।
এসব দাবির মধ্যে আছে, ফিলিস্তিনিদের উপর দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নারকীয় আগ্রাসন ও গণহত্যা অনতিবিলম্বে বন্ধ করা। ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও নিয়ন্ত্রণের পরিপূর্ণ অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনের উভয় অংশের মানুষের জানমাল, জীবন-জীবিকা, নিরাপত্তা, পরিপূর্ণ মানবাধিকার ও মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাধীন ও সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা। অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের গোপন ও পরোক্ষ সকল সম্পর্ক ও লেনদেন ছেদ করার স্বচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া।