ঝড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
Published : 06 Oct 2023, 01:49 PM
আশ্বিনের শেষভাগে বৃষ্টির যে আনাগোনা শুরু হয়েছিল, তার তোড় এখনও চলছে। তবে শনিবার থেকে বৃষ্টির তীব্রতা কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার সকালে কিছুটা বিরতি দিয়ে দুপুরের পর ফের বৃষ্টি শুরু হয়। তবে ভোর থেকেই আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, "বৃষ্টি আগের তুলনায় কমছে, শনিবার থেকে আরও কমে যাবে।"
এছাড়া মৌসুমী বায়ু বেশি সক্রিয় থাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। ঝড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ সতর্কবার্তায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরের নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ঢাকায় বৃহস্পতিবার বৃষ্টি ঝরেছে দুপুর থেকে, বিকালে তার বেগ আরও বাড়ে। এতে সড়কে পানি জমে, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটও তীব্র আকার ধারণ করে। এতে নাকাল হতে হয় রাজধানীবাসীকে। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে সারাদিনই বৃষ্টি হয়।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে ময়মনসিংহে, ৩৭৮ মিলিমিটার। নেত্রকোণায় হয়েছে ৩৫১ মিলিমিটার। এছাড়া নিকলিতে ৩১১ মিলিমিটার, টাঙ্গাইল এবং ফরিদপুরে যথাক্রমে ২৩০ এবং ২৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে যশোর এবং বগুড়ায়।
শুক্রবার সকালে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বর্তমানে মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পূর্ব-উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে ।
এছাড়া, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে, ওইদিন দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও এতে জানানো হয়।
এর আগে অক্টোবরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছিল, বঙ্গোপসাগরে অন্তত তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।
অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেছিলেন, তিনটি লঘুচাপের মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এছাড়া, সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। আর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের আভাস