এই যানবাহন বন্ধের নির্দেশনার পর গত পাঁচ দিন রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ হয়েছে।
Published : 25 Nov 2024, 12:08 PM
ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মোহাম্মদ আজমী জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. মাহমুদুর রাজীর হাই কোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়।
একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
আইনি বৈধতা না থাকলেও রাজধানীর অলিগলিতে দীর্ঘদিন থেকে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। তবে সরকার পতনের আন্দোলনের পর থেকে নগরীর প্রধান সড়কেও চলতে শুরু করে এসব বাহন।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার উচ্চ আদালত থেকে ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ আসে।
এর পরদিনই ঢাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে দয়াগঞ্জ মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।
কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে বৈধতা না থাকলেও ব্যাটারিচালিত রিকশা বিগত দশকজুড়ে গ্রাম ও শহরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে শহরের সড়কগুলোতে এসব বাহনের সংখ্যাধিক্য ঘটায় তা জীবনযাত্রায় নতুন দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে।
এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিল ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যানবাহন মহাসড়কে উঠতে পারবে না বলে আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। এর ফলে মহাসড়ক ছাড়া অন্য সব সড়কে এই যানগুলো চলার বৈধতা পায়।
চলতি বছরের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চালকদের আন্দোলন প্রতিরোধের মুখে সরকার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এ সময়ে আবারও এমন উদ্যোগ নেওয়ার পর গত পাঁচ দিন ধরে রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ চলছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা: আপিল করবে সরকার