আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইসি।
শনিবার সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠেয় এ সভায় গাইবান্ধা উপ নির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে দিকনির্দেশনাও দেওয়া হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত থাকবেন চার নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ইসি সচিব।
কমিশন বলছে, নির্বাচন পরিচালনা করতে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো উত্তরণের পথ বের করতে মতবিনিময় করবে ইসি। নির্বাচন পরিচালনায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও সামনে জেলা পরিষদ এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আছে।
নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, “সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিশন মাঠের রিপোর্ট বুঝতে চায়। জেলা পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চায়।
“… তাই আমরা যদি সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটু আগে থেকে সব স্তরে কাজ শুরু করি এবং নজরদারি রাখতে পারি, তাহলে নির্বাচন পরিচালনায় সাফল্য নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।”
ইতোমধ্যে ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠেয গাইবান্ধা উপ নির্বাচন ও ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন’ নিয়ে সিইসির কাছে অভিযোগ করেছে জাতীয় পার্টি।
এমন পরিস্থিতিতে আচরণবিধি প্রতিপালনে ইসির কঠোর অবস্থানের বিষয়টি কর্মকর্তাদের দেবে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, “আমাদের কড়া নির্দেশ আমরা লিখিতভাবে দিয়েছি। শনিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বৈঠকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে একেবারে সামনাসামনি।”
কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসির অধীনে ২০২৩ সালের শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন হবে। এর আগে স্থানীয় সরকারের অনেক নির্বাচনও রয়েছে।
রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে ইভিএমে দেড়শ আসনে ভোটের সিদ্ধান্তও রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপ করলেও বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল ইসির আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।