তিনি বলেন, “বায়ুদূষণ কমানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, যেটি অর্থনৈতিক সক্ষমতা, উন্নয়নের ধরন, যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে।
Published : 29 Jan 2025, 08:06 PM
শীত মৌসুমে বায়ুদূষণের অভিযোগ শুনতে পরিবেশ অধিদপ্তর একটি ‘হটলাইন’ চালু করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, “বায়ুদূষণ কমানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, যেটি অর্থনৈতিক সক্ষমতা, উন্নয়নের ধরন, যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। ফলে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা জরুরি।”
বুধবার অধিদপ্তরে ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প’ শীর্ষক পরামর্শ কর্মশালায় রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন। পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানান।
উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের প্রকল্প তখনই অর্থবহ হবে, যখন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দূষণ কমানোর স্পষ্ট অগ্রগতি দেখা যাবে। শুধু পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতির অবনতি তুলে ধরলেই চলবে না, কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
“জ্বালানির মান উন্নয়ন ও রিফাইনারির সক্ষমতা বৃদ্ধি না করে দূষণ কমানো সম্ভব নয়। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রিফাইনারি উন্নত হওয়ার পরও দূষিত শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে। তাই বাংলাদেশকেও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
আগামী শীতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন “সড়ক বিভাজকে গাছ লাগানোর মাধ্যমে ধুলোবালি কমানো সম্ভব, যা পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় ইতোমধ্যেই দেখা গেছে।”
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে কিছু স্টিল কারখানা শীতকালে ২-৩ মাস বন্ধ রাখা এবং ২০ বছরের পুরনো বাস রাস্তায় না চালানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার কথাও বলছেন রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, “এই প্রকল্প এমনভাবে ‘ডিজাইন’ করতে হবে, যাতে জনগণ বায়ুর গুণগত মানের উন্নতি দেখতে পায়। যদি ধুলাবালির দূষণ ১৩ শতাংশ কমানো এবং শিল্প কারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারব।”
আরও পড়ুন
সেন্ট মার্টিন বাঁচাতেই পর্যটন নিয়ন্ত্রণ: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাজউকের উদ্যোগে তরুণদের দেখতে চান রিজওয়ানা
শালবন উদ্ধার কার্যক্রম শুরু মার্চ থেকে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ভারত-চীনকে বাঁধ নির্মাণের আহ্বান