নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং প্রতিকারের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
Published : 06 Mar 2025, 12:01 AM
বাংলাদেশে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে হত্যা, গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর বিচার দেশের আদালতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতেও হতে পারে বলে মত দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক।
বুধবার জেনিভায় মানবাধিকার হাই কমিশনে জুলাই-অগাস্ট আন্দোলন নিয়ে কমিশনের করা প্রতিবেদন উপস্থাপনার অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রতিবেদনের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটার কিছু কাজ শুরু হয়েছে।
“দেশীয় বিচার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনেও বিচার হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার যদি চায়, তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যেতে পারে।”
বিচার প্রক্রিয়া ও সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি আইন ও প্রতিষ্ঠানকে খোলনলচে বদলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “চলমান আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রচেষ্টার পাশাপাশি নিবর্তনমূলক আইন এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল পরিবর্তন করাও গুরুত্বপূর্ণ।”
বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক মাত্রায় বলপ্রয়োগের কথা তুলে ধরে ফলকার টুর্ক বলেন, “বিক্ষোভকারী ও তাদের সমর্থকদের উপরে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের কথা বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি রয়েছে।”
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্ট বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাবলি নিয়ে তৈরি করা প্রতিবেদন ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। ওইদিন জেনিভায় সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক।
বুধবার জেনিভায় সরকারের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের উপস্থিতিতে প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আহত বিক্ষোভকারীদের চিকিৎসায় স্থপতিদের নিয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্মের সংগঠক স্থপতি ফারহানা শারমিন ইমু, আন্দোলনে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহমুদুর রহমান স্নিগ্ধ, আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থী নওশীন, মায়ের ডাক প্ল্যাটফর্মের সংগঠক সানজিদাত ইসলাম তুলি বক্তব্য দেন।
যাত্রাবাড়ী থানার সামনে ৫ অগাস্ট চলা গুলির ঘটনার ফরেনসিক অ্যানালাইসিস করে নির্মিত ‘যাত্রাবাড়ী: অ্যান এভিডেন্স অব এ ম্যাসাকার’ এর একটা অংশ প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনের তদন্ত দল।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান ররি মুনগোভেনের নেতৃত্বে ওই তদন্ত দলে মানবাধিকার অনুসন্ধানকারী, একজন ফরেনসিক চিকিৎসক এবং একজন অস্ত্র বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত থাকার কথা বলেছে জাতিসংঘ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশের যে কথা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তা তুলে ধরে ফলকার টুর্ক বলেন, “আমাদের বিশ্বাস সাবেক সরকারের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্য এবং গত ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত সহিংসা গোষ্ঠীগুলো এক্ষেত্রে সংগঠিত ও পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
“যার মধ্যে ছিল শত শত বিচারবহির্ভুত হত্যা, ব্যাপক মাত্রা গণগ্রেপ্তার ও আটক এবং শিশুদের ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা।”
তিনি বলেন, ”আমরা জানি বিক্ষোভকারীদের দমন ও সরকারকে ক্ষমতা টেকানোর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এক্ষেত্রে ছিল তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা বাহিনী কর্মকর্তাদের জানাশোনা, সমন্বয় ও নির্দেশনা।”
ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ কার্যক্রম, দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, পুনর্বাসন এবং জীবনজীবিকার ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ফলকার টুর্ক।
ঢাকায় অফিস খোলার মাধ্যমে বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের উপস্থিতি বাড়াতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে যেসব প্রতিশোধমূলক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর প্রতিকারের উপর জোর দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান বলেন, “প্রতিশোধের চক্র থেকে বের হয়ে আসা দরকার। সেজন্য আমরা আস্থার পরিবেশ তৈরি ও নিরাময়ের পরামর্শ দিয়ে আসছি।”
আলোচনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিষদের ভোট আয়োজনের বিষয়ে জানতে চান রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপের সুহাস চাকমা। ভোটের উপায় বের করার কাজ সরকার করছে বলে তাকে আশ্বস্ত করেন আসিফ নজরুল।
সুহাস চাকমা বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে না ১৯৮৯ থেকে। সরকার নির্বাচন আয়োজনে ব্যবস্থা নেবে কি না, যাতে তারা গণতন্ত্র চর্চা করতে পারে।
হত্যাযজ্ঞের নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস আসিফ নজরুলের
জুলাই-অগাস্টে হত্যাযজ্ঞের নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আশ্বাস জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনে দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের ফলাফল ও সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো বাংলাদেশে ব্যাপক বলপ্রয়োগ এবং সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহিতার প্রক্রিয়ায় ‘কেন্দ্রীয় ভূমিকা’ রাখতে পারে।
“আমি জুলাই-অগাস্ট হত্যাযজ্ঞের নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং প্রতিকারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া বজায় রাখার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।”
১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে ‘নিরপেক্ষ বিচার ও স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া’ নিশ্চিত করার দাবি করে তিনি বলেন, আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা হয়েছে। বিচারের বিদেশি আইনজীবীর অংশগ্রহণ এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার উপস্থিতির বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন এবং কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেতে অপেক্ষায় থাকার কথাও তুলে ধরেন আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যত বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘেটে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য ১৫টি সংস্কার কমিশনও করা হয়েছে।
যে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের পাওয়া গেছে, সেগুলোর সঙ্গে জাতিসংঘের দেওয়া সুপারিশের মিল থাকার কথা তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, পেশাদার পুলিশ বাহিনী, তদন্ত সংস্থাগুলোর দায়িত্ব স্পষ্টকরণের বিষয়টি সেখানে রয়েছে।
“আমাদের সরকার এই সংস্কার কার্যক্রমগুলোকে টেকসই করতে চায়। যার জন্য প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।”
‘ভিকটিমদের দেখাশোনা আর বিচার যেন হাতে হাতে রেখে চলে’
অনুষ্ঠানে আন্দোলনের সময় চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে আহতদের বিড়ম্বনা আর যন্ত্রণার গল্প শোনান বিক্ষোভকারীদের চিকিৎসার জন্য স্থপতিদের নিয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে স্থপতি ফারহানা শারমিন ইমু এবং আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীর বোন নওশীন।
ফারহানা শারমিন বলেন, ভিকটিমদের ভালোমত দেখাশোনা করা এবং অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার বিষয় অবশ্যই হাতে হাতে ধরে চলতে হবে। এ দুটা করার মাধ্যমে এই বিয়োগান্তক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে আহত-নিহতের যে সংখ্যা উঠে এসেছে তা বেশ বড়। অন্তত ১৪শ মানুষ মারা গেছেন এবং হাজারে হাজারে জীবন ধ্বংস হওয়ার মত আহত হয়েছেন।
“কিন্তু এই সংখ্যা দিয়ে সত্যিকারের ক্ষতি বোঝা যাবে না। একটা বুলেট একজনকে আহত করেনি শুধু, একটি পরিবারকে বিপদাপন্ন করেছে।”
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, একজন পোশাক শ্রমিক নারী তিন মাস হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন, খরচ হয়েছে পুরো সঞ্চয়, করেছেন ঋণ। তার সন্তানরা কেবল পেটে ভাত জোটানোর জন্য নেমেছে কাজে।
“একটা বুলেট কেবল তাকে আহত করেনি, এটা দুইজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে কাজে নামতে বাধ্য করেছে এবং একটা পরিবারকে পথে নামিয়েছে। এই সংকট আমরা এখানে বসে কেউ বুঝব না।“
ফারহানা শারমিন বলেন, ”প্রিয়জনকে হারানো পরিবার এবং আহতদের পক্ষে থেকে আমি বিশ্ববাসী যেন ন্যায়বিচার চায়, এই আহ্বান করছি।
“গত সাত মাসে আমরা অসমতা দেখেছি। ৯০ শতাংশ নিম্মবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতার চেয়ে বেশি কিছু। নতুন অনিশ্চিত ভবিষ্যতে পথরেখা তাদের দিশা প্রয়োজন।”
আন্দোলনে নিহত মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ বলেন, রিকশাচালকের মত সাধারণ মানুষ ভুগেছে; অ্যাম্বুলেন্সে চালানো হয়েছে গুলি; শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। আবু সাঈদ, নাফিস, সৈকত, ইয়ামিন, জাহিদুজ্জামান তানভীনদের মতো তরুণ মেধাবীদের, নাইমা সুলতানার মতো নারীদের এবং জাবির ইব্রাহিমের মত শিশুদের প্রাণক্ষয় হয়েছে।
“আজকে বিচারের দাবি নিয়ে একটা পরিবারে ঐক্যবদ্ধ। কেননা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ কখনও আশা করেনি, যারা নাগরিকদের রক্ষা করার কথা তারা এভাবে নাগরিকদের গুলি করতে পারে।”
তিনি বলেন, ”আমার নিজের কষ্ট এবং আমার মত অনেকে কষ্ট এই প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়েছে। বিচার কোনো একক বিষয় নয়, একটা প্রক্রিয়া। যার মধ্যে রয়েছে বিচার, সত্যানুস্ধান, ক্ষতিপূরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার।
“ভিকটিমদের জন্য বিচার মানে হচ্ছে জবাবদিহিতা; কেবল যারা ট্রিগারে চেপেছে তাদের নয়, বরং যারা নির্দেশ দিয়েছে তাদেরও।”
স্নিগ্ধ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঠিক হবে না, কেবল বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা। স্বাধীন তদন্তকে সমর্থন দেওয়া এবং আইন অমান্যের জন্য পরিণতি ভোগ করার বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ দরকার।
জুলাই-অগাস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত করে বিগত সময়ের গুমের ঘটনা তদন্তের প্রস্তাব জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনকে দেন ’মায়ের ডাক’ এর সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি।
‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত পাওয়া গুমঘরগুলো পরিদর্শনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা চাই সেখানকার প্রমাণগুলো সংরক্ষণ করা হোক। এবং এসব ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ততার বিষয় এবং তার স্পষ্ট বক্তব্যের উপর আমরা জোর দিতে চাই।
“রাষ্ট্রীয় সংস্থায় যুক্ত থেকে যেসব ব্যক্তি গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদেরকে বিচারের আওতা আনার দাবি আমরা জানাচ্ছি।”
আহত শিক্ষার্থীর বোন ও আন্দোলনকারী নওশীন বলেন, “আন্দালনে ১৭ বছর বয়সি ভাই গুলি খায়। এখানে তার শেষ হয়নি, আমরা যতগুলো হাসপাতালে তাকে নিয়ে গেছি, প্রায় সবগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। চার দিনের জন্য তাকে শরীরে গুলি নিয়ে থাকতে হয়। এরপর কোনোমতে তার গুলি বের করতে পারলেও যন্ত্রণা শেষ হয়নি।
“কেননা, প্রতি রাতে আমাদের ভয় ছিল, কখন পুলিশ আসবে তাকে ধরে নিয়ে যেতে। সেই নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থী হওয়াটাই ছিল একটা অপরাধ এবং ঘরে ঘরে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞেস করছিল, এখানে কি কোনো ছাত্র আছে? এমনকি আহত হলেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছিল।”
আন্দোলন দমাতে অভিযান শেখ হাসিনার নির্দেশ ও তদারকিতে: জাতিসংঘ
অভ্যুত্থানে নিহতের ৭৮ শতাংশই গুলিতে, আবু সাঈদের মৃত্যুর যে কারণ
জুলাই আন্দোলনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য জাতিসংঘের প্রতিবেদনে
র্যাব বিলুপ্ত, বিজিবি ও ডিজিএফআইকে সীমায় বাধার সুপারিশ জাতিসংঘের