বিদেশি অনুদানে পরিচালিত এনজিও ২৬১২টি, সংসদে তথ্য

ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের কৃষক/চাষী সমবায় সমিতির সংখ্যা এক লাখ ১২ হাজার ৬৫৮টি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2024, 01:15 PM
Updated : 5 March 2024, 01:15 PM

বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি অনুদানে আড়াই হাজারের বেশি বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওর কার্যক্রম চলছে।

মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।

বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বৈদেশিক অনুদানে পরিচালিত এনজিওর সংখ্যা দুই হাজার ৬১২টি। এর মধ্যে বিদেশি ২৬৮টি এবং দেশীয় দুই হাজার ৩৪৪টি।

আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করা প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম জেলা প্রশাসক ও ইউএনও পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও তদারকির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সরকারের সঙ্গে এনজিওগুলোর সুষ্ঠু সমন্বয়ের ফলে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রে অগ্রগতি লক্ষ্যনীয়।

ঢাকা মহানগরে পানির ঘাটতি নেই

ঢাকা-১৪ আসনের মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের প্রশ্নে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানান, চাহিদা অনুযায়ী ঢাকা মহানগরে পানির ঘাটতি নেই।

তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরে দৈনিক মোট পানির চাহিদা ২৬৫-২৭০ কোটি লিটার। চাহিদার তুলনায় পানির উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫-২৮০ কোটি লিটার। গ্রীষ্ম মৌসুমে তাৎক্ষণিক পানির বাড়তি চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন স্থানে স্ট্যান্ডবাই ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।

ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের কৃষক/চাষী সমবায় সমিতির সংখ্যা এক লাখ ১২ হাজার ৬৫৮টি। এর মধ্যে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধিত ৫৮ হাজার ২৮৫টি ও বিআরডিবির ৫৮ হাজার ৩৭৩টি। সরকার অনুমোদিত পেশাভিত্তিক সমবায় সমিতির সংখ্যা ৮৬টি।

ঝিনাইদহ-২ আসনের মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহরের বিভিন্ন খাল এবং নালা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের বিরুদ্ধে জোরালো কার্যক্রম চলমান আছে।

নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীতে পানির জলাধারগুলো ক্রমেই বিলীন হওয়ার পথে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মোতাবেক ঢাকায় জলাধারগুলো উন্মুক্ত করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলে ঢাকা ওয়াসা তাৎক্ষণিক অগ্নি নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসকে সার্বিক সহযোগিতা করে। রাজধানীতে পানির উৎস বাড়ানোর লক্ষ্যে খালগুলো সংস্কার ও অবৈধ দখলমুক্ত করার কার্যকম চলমান রয়েছে।