Published : 25 Mar 2023, 02:51 PM
দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ বিনোদন জগতের কয়েকজন তারকাকে ডেকে নিয়ে আলোচনায় আসা ‘আরাভ খানের’ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পুলিশি সংস্থা ইন্টারপোলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়েছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এই ‘আরাভ’ বাংলাদেশে পুলিশ কর্মকর্তা এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম বলে নিশিচত হওয়ার পর তার নামে ইন্টারপোলে রেড নোটিস জারি করা হয়।
শনিবার ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে পুলিশ প্রধান সাংবাদিকের বলেন, “পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিস জারি করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ইন্টারপোলের যোগাযোগ রয়েছে।”
সম্প্রতি আরব আমিরাতের দুবাইয়ে একটি গয়নার দোকান উদ্বোধন হয়েছে আরাভের। সেটি উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে উড়ে যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ বিনোদন জগতের আরও কয়েকজন। আর সেই আয়োজন ঘিরে দেশে শুরু হয় তোলপাড়।
ওই অনুষ্ঠানের আগে আগে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, এই আরাভ ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম, যিনি পালিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই গেছেন।
আরও প্রকাশ পায়, এই আরাভ বা রবিউলের নাম একটি দুটি নয়, তিনি একেক সময় একেক নামে পরিচিতি পেয়েছেন। তার বাবা ছিলেন নিম্ন আয়ের একজন মানুষ, যিনি ঢাকায় এসে হোটেলে শ্রমিকের কাজ করেছেন। সেই তিনিই এখন বিপুল টাকার মালিক, যার অর্থের উৎস নিয়ে আছে ধোঁয়াশা।
হত্যার আসামি রবিউলই দুবাইয়ের আরাভ খান, বলছে পুলিশ
আরাভ ‘খুনের আসামি’ জেনেই দুবাই গেছেন সাকিব: ডিবি
আরাভ নামে কাউকে চিনি না: বেনজীর
আরাভ দুবাই পুলিশের নজরদারিতে, জানালেন রাষ্ট্রদূত
ইন্টারপোলে রেড নোটিস জারির পর ‘আরাভকে’ ডেকে নিয়ে দুবাইয়ের পুলিশ কথা বলেছে বলেও প্রকাশ পেয়েছে দেশের সংবাদমাধ্যমে। আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর দুদিন আগে বলেছিলেন, আরাভ দুবাই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।
আরাভ আটক হয়েছেন কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, “দুবাইয়ে আরাভ খাঁন আটকের কোনো তথ্য জানা নেই।”
ভারতের পাসপোর্টের দুবাই যাওয়ায় আরাভকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে অসুবিধা হবে কি না- জানতে চাইলে আইজিপি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, “পুলিশ সবকিছু নিয়েই কাজ করছে।”
ঢাকার বানানীতে এক হোটেল থেকে বিএনপির ৫৪ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়ার বিষয়েও পুলিশ প্রধানকে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা।
হোটেলে খেতে গেলে কী সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘন হয়?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এজাহার দেখে বলতে হবে কোন কোন গ্রাউন্ড পাওয়া গেছে।”