দাবি আদায় না হলে ২৭ এপ্রিল শাহবাগে সমাবেশ ডেকেছে ‘৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’।
Published : 13 Apr 2025, 06:56 PM
সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করে যে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে, তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের একটা অংশ।
রোববার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ‘৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলর ডেকে তারা এ দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আগের অধ্যাদেশ বাতিল করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষদের সর্বনিম্ন ৩৫ ও নারীদের সর্বনিম্ন ৩৭ বছর করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দাবি বাস্তবায়নে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে ২৭ এপ্রিল শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, "বয়সসীমা ৩৫ বছর বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবিতে গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারও ৩৫ বছরের পরিবর্তে ৩২ বছরের প্রজ্ঞাপন জারি করে আমাদের সঙ্গে প্রহসন করেছে, যা আমরা এরই মধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছি।"
তারা বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল ১৬ বছরের লড়াই-সংগ্রামের বিনিময়ে অর্জিত নতুন সরকার ৩৫ ও ৩৭ বছরের বয়সসীমা বাস্তবায়ন করে ক্ষতিগ্রস্ত প্রজন্মকে প্রমাণ করার সুযোগ দেবে। কিন্তু বর্তমান সরকার তা না করায় ক্ষতিগ্রপ্ত প্রজন্ম কোনো সুফল পায়নি।
দীর্ঘদিন থেকে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে তা আলোর মুখ দেখেনি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এ দাবি জোরালো হয়। এর মধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর দাবি পর্যালোচনার জন্য কমিটি করে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
ওই কমিটি পরের মাসে পুরুষের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও নারীর ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে। কিন্তু গত ১৮ নভেম্বর চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
আন্দোলনকারীরা সেই অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন