এ ঘটনায় স্টারের বনানী শাখার ১১ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 07 Oct 2024, 02:23 PM
কাচ্চি বিরিয়ানিতে ‘পচা ও গন্ধযুক্ত’ টিক্কা কাবাব দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক গ্রাহককে মারধরের অভিযোগে ঢাকার ‘স্টার কাবার অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের’ বনানী শাখার ১১ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার জানিয়েছেন, রোববার রাতে স্টারের বনানী শাখার ম্যানেজার মো. মুসলিমসহ ১১ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বনানী থানায় মামলা করেন মারধরের শিকার হওয়া সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক নামের ওই গ্রাহক।
ওসি সারোয়ার বলেন, “ওই গ্রাহককে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে আর কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”
এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে অলক বনানীর স্টারে খেতে গিয়েছিলেন রোববার দুপুরে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি টাকা দিয়ে খাবার খাচ্ছি, তাও কেন পচা খাবার দেওয়া হবে? প্রতিবাদ করে আমি পাল্টে দিতে বলেছিলাম। তারা খাবার পাল্টেতো দেয়ইনি, বরং ‘জীবনেও খান নাই’ টাইপের কথাবার্তা বলে অপমান করতে থাকে। আমি এর প্রতিবাদ জানালে আমাকে মারধর করা হয়।
“আমি চাই রেস্টুরেন্টগুলোয় যেন গ্রাহককে গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করে সঠিক সার্ভিসটা দেয়। গতকাল আমাকে মারধরের ঘটনায় মামলার ১১ আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করব তারা শাস্তি পেলে অন্যরা এটা থেকে শিক্ষা নেবে।”
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, “সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক ও তার বন্ধুর কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে পচা ও গন্ধযুক্ত টিক্কা কাবাব দেওয়া হয়। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে স্টার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার বন্ধু খাবারে গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ করলে স্টার কাবাবের ম্যানেজার তাকে অপমানজনক কথাবার্তা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে অলক প্রতিবাদ করলে, আশপাশের আরও তিনজন গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন।
“এতে ম্যানেজার ক্ষিপ্ত হয়ে কলিংবেল চেপে সব স্টাফকে জড়ো করেন। এরপর অলককে স্টার কাবাবের কর্মীরা বেধড়ক মারধর করেন। মারধরে তার কপালের ডানপাশে কেটে রক্তাক্ত হয়।“
‘স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্টট’ এর বনানী শাখার আগের ম্যানেজার মো. মুসলিমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় সোমবার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন মো. রাসেল হাওলাদার।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমরা কাজে ব্যস্ত আছি, এই মুহুর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না।”