আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ ও সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাড়িয়ে ৫০ করা হয়।
Published : 05 Dec 2024, 01:59 AM
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ কয়েকটি বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।
এ সংক্রান্ত করা রিট আবেদনের ওপর কবে রায় হবে, তা বৃহস্পতিবার জানা যাবে; ওই দিন কার্যতালিকায় প্রথমে মামলাটি রাখা রয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত জানায়।
পঞ্চদশ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ অগাস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট গত ১৯ অগাস্ট রুল দেয়।
রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
ওই রুলে আদালতকে সহায়তা করতে বিএনপি, গণফোরাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সংস্থা ও কয়েকজন ব্যক্তি যুক্ত হন এবং তাদের পক্ষে আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেন।
গত ৩০ অক্টোবর শুনানির পর নভেম্বরে ৯ দিন (৬ নভেম্বর, ৭ নভেম্বর, ১০ নভেম্বর, ১৩ নভেম্বর, ১৪ নভেম্বর, ২০ নভেম্বর, ২৫ নভেম্বর, ২৭ ও ২৮ নভেম্বর) এবং ১ ডিসেম্বর ও বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রুলের ওপর শুনানি হয়।
গত অক্টোবরে পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ১৭টি ধারার বৈধতা নিয়ে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন একটি রিট আবেদন করেন।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর হাই কোর্টের একই বেঞ্চ রুল দেয়। রুলে আইনের ওই ধারাগুলো কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলের ওপর বুধবার শুনানি হয়।
এদিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল ও এ এস এম শাহরিয়ার কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পাশাপাশি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়।
অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়।
আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার বিধান থাকলেও ওই সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়টি সংযোজন করা হয়।