মাইনুল হাসান বলেন, “ইতোমধ্যে পুলিশের পূজাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।“
Published : 25 Sep 2024, 06:14 PM
আর দুই সপ্তাহ পরে শুরু হতে যাওয়া দুর্গাপূজায় দেশের প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ ‘সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে’ বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
পূজা সামনে রেখে বুধবার ডিএমপি সদর দপ্তরে নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ইতোমধ্যে পুলিশের পূজাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।”
পূজার মধ্যে পোশাকে ও সাধারণ পোশাকের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সোয়াট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান ও বম ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, পূজার আগের আনুষ্ঠানিকতায়, পূজার সময় এবং প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আগামী ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হবে। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী ও ১২ অক্টোবর নবমী ও দশমী পূজা হবে।
১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে এ বছরের শারদীয়া দুর্গোৎসবের।
ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মণ্ডপে সার্বক্ষণিক ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) চালু রাখতে পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যদেরও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা কাছের থানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন মাইনুল হাসান।
তিনি বলেন, “সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদযাপিত হবে।“
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, “আমরা সেই বাংলাদেশের প্রত্যাশা করি, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে।”
ঢাকা মহানগর এলাকার প্রতিটি মন্দিরের নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিএমপি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে বলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার জানান।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্), সানা শামীনুর রহমান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ডিএমপির নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসানসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা সভায় বক্তব্য দেন।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহসম্পাদক স্বামী শান্তি করাণেন্দু মহারাজ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সহসভাপতি গোপালচন্দ্র দেব নাথ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস চন্দ্র পাল, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার বসু রায় চৌধুরী (পিন্টু) ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ সভায় উপস্থিত ছিলেন।