সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চট্টগ্রামে।
Published : 27 May 2024, 08:34 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের মধ্যেই একদিনের ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ওই বার্তায় বলা হয়, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারি (২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।
ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে বলে ওই বার্তায় সতর্ক করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চট্টগ্রামে। এ সময়ে ঢাকায় ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি নেমেছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
গত ২২ মে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় শনিবার সন্ধ্যায়। তখন এর নাম দেওয়া হয় রেমাল। রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।
এর প্রভাবে রোববার বিকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। পরদিন সকাল থেকে সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে দুর্বল হয়ে আসে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
পরে গভীর নিম্নচাপটি দিনভর বৃষ্টি ঝড়িয়ে দূর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে নিম্নচাপটি সোমবার সন্ধা ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে।
চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে পাঁচ জেলায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে; বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন পৌনে তিন কোটি গ্রাহক।
স্বাভাবিকের চেয়ে ৭-৮ ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের চাপে সাতক্ষীরা, বরগুনাসহ কয়েক জেলায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে শত শত গ্রাম।
এছাড়া খুলনার দাকোপ ও কয়রা এলাকায় রোববার রাতভর ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার তথ্য এসেছে। সেই সঙ্গে ভেসে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের; ভেঙে গেছে কয়েক’শ কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট।