“সাক্ষ্য হিসেবে বক্তব্য নেওয়া অধিকাংশই সেনা কর্মকর্তা অবসরে গেছেন,” বলেন ফজলুর।
Published : 20 Feb 2025, 05:00 PM
দেড় দশক আগে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত স্বাধীন কমিশন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে বলছে, সেই সময়ের সেনা আইন ভঙ্গের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সভাপতি আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, “কমিশন অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।”
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
ক্ষমতার পালাবদলে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই ঘটনা পুনঃতদন্তের দাবি জোরাল হয়। এর মধ্যে গত ২৪ ডিসেম্বর জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
ফজলুর রহমান বলেন, “এ পর্যন্ত যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে আছেন তিনজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, দুজন মেজর জেনারেল, পাঁচজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, চারজন কর্নেল, চারজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, সাতজন মেজর, দুজন ক্যাপ্টেন, সাতজন বিডিআর সদস্য এবং তিনজন শহীদ পরিবারের সদস্য।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সাক্ষ্য হিসেবে বক্তব্য নেওয়া অধিকাংশই সেনা কর্মকর্তা অবসরে গেছেন। অন্তত মেজর পর্যন্ত দুই-একজন ছাড়া সকলেই অবসরে।”
তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ইনভেস্টিগেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নামে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে কমিশন সভাপতি বলেন, “কাজের নির্ভুলতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এই উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “কমিশন সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কর্তৃপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে কিছু মন্ত্রণালয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি কিছু বিদেশি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করার বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কমিশনের তরফে বিভিন্ন ব্যাক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তবে কতজন বা কারা এই তালিকায় আছেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।