সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কর্মশালা করেছে ডিএমপি।
সোমবার ডিএমপি ট্রেইনিং একাডেমি আয়োজিত কর্মমালায় অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে বিভিন্ন ট্রাফিক সাইনের অর্থ, দুর্ঘটনা কারণ, দীর্ঘ যানজট ও এর থেকে প্রতিকারের বিষয় তুলে ধরা হয়।
অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ বলেন, “প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাই। অনেক সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।”
সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতার বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা বর্তমান সময়ে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
“রাজধানীতে প্রতিদিনই বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। এ জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু সড়ক ব্যবস্থাপনা। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা, ঠিকমতো গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা, গাড়ির গতিসীমা সঠিক আছে কিনা, অযথা ওভারটেকিং করছে কিনা- এমন বিষয়গুলো সঠিকভাবে মনিটরিং করা প্রয়োজন।”
এ সময় পথচারীদের মধ্যে ফুটপাত ও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে আরও সচেতন হতে বলেন তিনি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, “দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক আইন ও সড়কের বিভিন্ন চিহ্ন সম্বন্ধে আমাদের ধারণা থাকতে হবে। ট্রাফিক আইন ও বিধি না মানার কারণে সড়কে মারাত্মক ধরণের দুর্ঘটনা ঘটছে।
“রাজধানীর সড়কের একটি বড় সমস্যা হলো যানজট। এর ফলে একটি গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে। ফলে যখনই গাড়িটি একটু ফাঁকা সড়ক পায় তখনই অতি দ্রুত বেগে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই দ্রুত গতির ফলেই ঘটছে দুর্ঘটনা।”
কর্মশালায় নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।