জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা এবং ইসি সচিবালয়ে প্রেষণে সব ধরনের পদায়ন বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার এসব দাবি তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের অনুলিপি পাঠিয়েছে সংগঠনটি।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের ২৬ নভেম্বরের বৈঠকে ওইসব সিদ্ধান্ত নিয়ে সেগুলো কমিশনকে জানিয়েছে। পর্যায়ক্রমে তারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকেও এসব জানাবে।
“এনআইডি সেবা কার্যক্রম নিয়ে ইতোমধ্যে কমিশন বক্তব্য স্পষ্ট করেছে। সরকার যেটা বাস্তবায়ন করবে, আমাদের সেটাই বাস্তবায়ন করতে হবে; এটাতে অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারাও একমত।”
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণীতে বলা হয়, তাদের দাবির বিষয়ে ইসি ‘দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ’ না নিলে ৫ ডিসেম্বর কালোব্যাজ ধারণ এবং ৮ ডিসেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।
দেড় দশক আগে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির সময় জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়েছিল। এরপর থেকে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনাতেই এ কাজ চলে আসছে।
কিন্তু ইসির আপত্তির মধ্যেই এখন তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।