এনআইডি সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের হাতে রাখতে কর্মকর্তাদের দাবি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে চায় ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন কমিশনের যে অফির্সাস সমিতি আছে, তারা আমাদের কাছে আবেদন দিয়েছিল। আমরা বলেছি, এটা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। এটার অনুলিপি হয়ত সুরক্ষা সেবা বিভাগেও যাবে, এটুকু সিদ্ধান্ত ছিল।”
দেড় দশক আগে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির সময় জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়েছিল। এরপর থেকে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনাতেই এ কাজ চলে আসছে।
কিন্তু ইসির আপত্তির মধ্যেই এখন তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
কিন্তু ইসি সচিবালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ তাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে। এনআইডি সেবার কাজটি কমিশনে রাখতে গেল অক্টোবরে সিইসির কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছে তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, “নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজটা প্রথম থেকে করে আসছে। এদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে, একটা প্রশিক্ষিত জনবল হয়েছে। এটা নিয়ে গেলে সরকারের জনবল এবং টেকনিক্যাল অবকাঠামো করতে হবে। সেটা সময়সাপেক্ষও।
“এখানে থাকার কতগুলো ভালো দিক আছে। আবার সরকার নিয়ে যেতে চায়। আমরা চিন্তা করেছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি যেহেতু রাষ্ট্রের প্রধান, আমাদেরও অভিভাবক, সরকারেরও অভিভাবক। উনার কাছে আমরা পাঠিয়ে দেব। উনি যেটা ভালো মনে করেন।”
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশন এ বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা তো কোনো পক্ষ হতে পারি না। নির্বাচন কমিশন চাইবে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। এজন্য তিনি যা ভালো মনে করবেন সে রকম সিদ্ধান্ত নেবেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, এনআইডির সব কিছু সরকারের কাছে গেলেও ভোটে এর কোনো প্রভাব পড়বে বলে তিনি মনে করেন না।